....

বাংলা কবিতার জগতে এলিটিজম বনাম দৃষ্টান্তবাদ | সাজ্জাদ সাঈফ



আমরা সকলেই মনে মনে শান্তি চাই, প্রাণে শান্তিপ্রিয়, অথচ কমিউনাল শান্তির সমান্তরালে থাকবার তাড়না ছাড়াই আমরা কেউ-বা আত্মগর্বে অন্ধ কেউ-বা লিবারাল আবার কেউ-বা এর কোনোটাই নই যেমন বিমূঢ় মানে নির্লিপ্ত যার কিছুতেই কিছু এসে যায় না যে নিজের বাঁচাটা নিয়ে থাকে আর কারো কিছুতেই বিকারপ্রাপ্তি স্বীকার করে না।

এই যে বিশ্বপ্রকৃতির দিনকাল কাটাচ্ছি আমরা, এখানেই এই সমস্ত পদের লোক বর্তমান, আমরা সকলে মিলেই দুনিয়া। এই দুনিয়া এখন রাজনৈতিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক মানদন্ডে বহুধাবিভক্ত যার প্রমাণ মানবিকতার বিবিধ বিচ্যুতি। দেশে দেশে ঝগড়া, জনে জনে ফারাক প্রতিদিনকার দৃশ্য...

যাক বেজ সিনে কথাগুলা রাইখা মূল প্রসঙ্গে আসি। 

'বাংলা কবিতায় সাম্প্রতিক এলিটিজম বনাম লেখনির মূল ধারা'

বর্তমান দৃশ্যবাস্তবে কলিকাতা আর ঢাকা ক্রমাগত এলিটিপনার যে বলয় গড়ে তুলেছে সেখানে পশ্চিমের কবি মৃদুল/রণজিৎ/জয়/শ্রীজাত আর পূর্বের ফরহাদ/শরীফ/রাইসু/ফরিদ/গালিব গং পরস্পর হ‌ইয়া উঠিছে ক্রমে। মোটের ওপর দেগে দেয়া যে এই হলো কবিতা আর ঐ সব উচ্ছন্নে যাক। মূলত সংস্কৃতির আদিঅন্ত সহযোগে এইসব এলিটিজমের বিপরীতে যে কবিতাক্রম গড়ে উঠেছে তার বিপক্ষে এই এলিটিজমের প্রোপাগান্ডার অবশেষ‌ও যে নাই তা তাদের একদেশদর্শী আয়োজনডঙ্কা শুনলেই বোঝা যায়।

যা হোক এখানে এইসব বাতচিত আলোচ্যমাত্র নয়। কথা হলো ভুবন বাস্তবতায় পক্ষ বিপক্ষ তৈরিটা সাহিত্যের উদ্দেশ্য যে নয় তা কিঞ্চিত তুলে ধরা।

বাংলা কবিতার কথায় ফিরি। বাংলা কবিতায় এই অবসরে সমকালে স্ফীত হয়েছে সমকালীন দৃষ্টান্তবাদ ও অস্তিত্ববাদের প্রবল চর্চা। আর এর প্রায় পুরোটায় সাহিত্যমিডিয়ার চিরাচরিত আধিপত্যবাদের বাহিরে থেকে যাওয়া স্বয়ম্ভু তারুণ্য।

দৃষ্টান্তবাদ প্রবল হয়ে উঠছে বক্তব্যে, এ এক নতুন সজ্জা বাংলা কবিতার বিবিধ উল্লম্ফন-টীকা-আত্মমগ্নতার ধার ঘেঁষে। খুব শীঘ্রই দৃষ্টান্তবাদ কবিতার বাক্যে মেলবে নতুন ব্যক্তিত্বপূর্ণতার ছবি। নিপাত যাবে আধিপত্যবাদের ব্যক্তিত্বহীন‌তা অথবা নিদেনপক্ষে মিডিয়ার বাতচিত শ্লথ হবে ক্রমে কবিতার সুন্দরে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. অস্তিত্ববাদের প্রবল চর্চা কি বর্তমান সময়ের প্রভাব? কিন্তু বাংলা সাহিত্যে এটা তো ৫০ বছর আগে থেকেই আছে। লালসালু যার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। লেখককে বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।

    উত্তরমুছুন

অস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।