....

শামীম আহমেদ -এর চারটি কবিতা


স্ববিভাজনের কৈফিয়তনামা

দেহল নক্সায় আত্মিক নির্যাসের বয়েসী ছাপ। মুষল রাত্রির ডাকবাক্সে জমে মুদ্রিত মুদ্রাদোষ। শরমখোলা ভাঙ্গনে বহুগন্ধী উদ্দীপক প্রতিপাদ্য; যৌনাচারবদ্ধ নোনা কোলাজ শরীর ব্যাপ্তিতে অবগুন্ঠন মেলে রাতপরী নামে (নাচে)। বিভাজনে নামে নিদ্রিত জোছনার শুঁয়োপোকা। (আরো কিছু ছায়াক্ষত কোলাহল)

এবার স্পর্শহীন ঈশ্বরের ব্যবচ্ছেদ হবে বেশ। আমি উড়ালবায়ু কোন ভূগোল মানবোনা।


বুবুক্ষু বারুদের মোড়ক

ক্লান্ত শিয়রে জেগে থাকে সনেট; টেবিলে কলমদানি, গুটিকয় রবীন্দ্রনাথ, সার্তে অন্যান্য।
মগজভর্তি আমিত্রাক্ষর দ্বন্দ্ব- জাগে বিস্ফোরণের বুবুক্ষতায়। এ বেলায় ঘুমকামাই হলো।
দিন সুযোগে ঝিমিয়ে নেব ঢের। তাই কিছুটা ক্ষুধা ছূঁড়ে দাও- যাতনাদ্রোহ অনূভবে আনি।
আমার পাশে হাড়ের কারখানা, ভূখারা পাঁজর বিক্রি করে। আমি নাগরিক অকবি-স্যাঁতস্যাতে
মোড়কে অপ্রজ্জ্বল বারুদের আশ্বাস; নিষ্কাম আগুনের ক্রোধ কোথায় ধরে রাখি!


সন্ন্যাসের ইচ্ছে বয়ান

দুপুর গড়ানো উষ্ণতায় গলে যায়
কংক্রিটের গালিচা; উরন্ত ঝুনঝুনি বাজায় রোদের হলুদ গন্ধ।
পাখি হাঁপায় শর্ষের কাঁচা ক্ষেতে। গাছপাতায় ওড়ে মাতাল বনবাস।
ইত্যাকার ক্ষণে
বুকপকেটে জমে কাচপোকা।


চাঁদ প্রপাতের বন্দরে

ভৌগলিক জোয়ারে ফেঁপে নদীটা চাঁদের প্রপাত
                         আর
রুপোলী উদ্যানে ফুটে তারকাফুল
             ক্রমে ক্রমে কম্পিত নিশিথে
বয়ে আনে বাউরী মগ্নতা, তৃষিত ভেতর গভীর।

সোডিয়াম এলকোহলের গাঁ চুঁয়ে কান্নার ফিসফাস
ভেতো সংসারে আনে আলাপচারিতার
আদিম ঘনশ্বাস।।
বন্দরে দ্বাদশী এলো
শ্যাওলা নোঙ্গরে কোরাল উষ্ণতায়
তারপর ...
সারেং বেজে যাচ্ছে
বাতিঘর দূরে যাচ্ছে
চাঁদের প্রপাত টুপটাপ জলকান্নায় নদীগর্ভে
        হয়ে রয়
পাথুরে জলজহীম ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ