ঘাট নাই, তীর নাই
গ্রামের কুমারী মেয়েরা নদীতে গোসলে যেতো
অই নদী ছিলো আমার সাঁতার ধারাপাত
দাদীর ছিলো মস্ত গাই
তার বাচ্চাটিকে চুবাতে গিয়ে নিজেই ঢোকে ঢোকে খেয়েছি জল
এমন বয়সে বিন্দুমাত্র বুঝিনি
জল থেকে তীরে ওঠা কুমারীরা
পুরুষের হৃৎপিণ্ডে বেতালে বাজাতে থাকে আরতীর ঢোল
যৌবনে মনে এলে নদীটির নাম
অন্ধ নদীপ্রেমিক হয়ে ছুটে যাই
দেখি, কোনোরূপ স্মৃতিচিহ্ন নাই...
ঘাট নাই, তীর নাই--- হাঁটুজল, কাদা
কোথায় সেই গ্রাম্যকুমারীর দল?
ওপারে শ্যাওলা অপার--- নড়ে ওঠে পানকৌড়ির ডানা
যেনো বাকিসব ধাঁধা...
বৃষ্টিবিলাস
ভেঙে যাক ছাতার ভেল্কি
জবুথবু হোক ঈর্ষণীয় যৌথচিবুক
এইসব দৃশ্যের আমি মন্ত্রমুগ্ধ তুমুল দর্শক;
আমারও আকাশ ছিলো
মেঘ জমতো, বৃষ্টি নামতো
কিন্তু আমার হয়নি দেখা
চোখাচোখির বৃষ্টিঝরা যুগল পাতা
একজীবনে ভালোবাসাই শেষ ঠিকানা
বাণীটা পাঠ করিনি!
আজ দেখি, বৃষ্টিরা আমাকে আড়াল রেখে
ঘরে ঘরে কড়া নাড়ে!
আমার বুকে কে যেনো একই শব্দে
বেতালে পেটাচ্ছে হাতুড়ি!
বৃষ্টির দিনগুলো চলে গেলে ভাবি
বর্ষা বারবার আসে...
1 মন্তব্যসমূহ
অনিন্দ্যসুন্দর।
উত্তরমুছুনঅস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।