....

রুদ্র মানিকের কবিতা | দিব্যক



এক বৃহস্পতিবার


কোনো এক বৃষ্টির সাথে সন্ধ্যা নামার সন্ধ্যায়, চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে-
এক বৃহস্পতিবার রাতে গল্পের আসরে 
আসর শেষে পইর‍্যা থাকা মাদুরের জায়গায় নিজেরে দেখি।

বৈঠক শেষে পইড়্যা থাকা মাদুরের দুঃখ মূলত কচ্ছপের আয়ু।
নো ম্যানস ল্যান্ডে নিজেরে হারায়ে খোঁজার যন্ত্রণা
কিংবা জীবনে বেঁচে থাকার নাগরিক ইশতেহার -
বিষণ্ণ মহাকাল, আমাকে দাও হেমলক পেয়ালায় বেঁচে থাকার কিছু কারণ
কিংবা তুলো তুলো মেঘের মত নরম বোধিপ্রাপ্তির টিকিট!


তারপর পৃথিবীতে হয়তো তখন আরেক বৃহস্পতিবার।
একটা কালি ফুরানো কলম
একটা আধ-খাওয়া খাতায় পুরানো কবিতা
মস্তিষ্কে পইর‍্যা থাকা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ লেখার মত আমিও পইর‍্যা আছি
কোন এক মানুষের মনে!
পরের এক শুক্কুরবার পৃথিবীকে ছুটি  জানানো আমি এক শোক নির্বাণের শোক
কিংবা নিছক পুরানো এক বৃহস্পতিবার!




মৃত্যু কিংবা শ্রেষ্ঠ দর্শন


আমি একটি সার্কাস দলের সদস্য
আমার প্রেমিকা হেমলক সোসাইটির একজন কর্মী 
একই শহরে একই আকাশের নিচে দুটো চোখের মত জেগে আছি
একটা চোখ আরেকটা চোখ কে না দেখার বেদনা নিয়ে
জানি- দু চোখের মত পাশাপাশি থেকে অচেনা হলে মানুষ মূলত আত্মহত্যা প্রবণ হয়ে ওঠে!

প্রতিবেলার সাদা ভাতেরা মনে করিয়ে দিচ্ছে-
মূলত শান্তিতে মরতে জানা'ই জীবনের অমোঘ সাফল্য।
মরতে জানা ই জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট দার্শনিকতা!



আমি

আমি চৈত্রের রোদ্রপোড়া চিড়ধরা মাটির মত তৃষ্ণাদগ্ধ 
অর্থহীন পিতার মত তিক্ত আমি 
তিক্ত আমি নগ্ন সত্যের মত!
আখিরাতের শস্যক্ষেত্র নামক দুনিয়ায়,
আমি ভুমিহীন কৃষক।
প্রাণহীন সবকিছুতে আমার ঈশ্বরের মত উদাস উদাস লাগে!
আমি মূলত শূন্যস্থান -
শূন্যস্থানের বিলয়ের অবকাশ নেই!


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ