গাধার পাখা
গাধার পিঠে বসে তার সঙ্গে কথা বলে এলাম
সে অন্য কোথাও
বাতাসের তারেই আলাপ
তেরো বছর গাধাটি পাথর পথের ধারে
সে জড় তারপরও ভারবাহী
তাকে বলেছি সে হেসেছে
আকাশ হতে খসে পড়েছিলো মেঘের পালক
গাধার পাখায় পালক গুঁজে দিলাম সুন্দর
উরুমূলে প্রাণ
সে সারাদিন স্তন পান করে রাতভর ঝিমায়
ভোরবেলা স্নান করে আড়াই ঘণ্টা নয় মিনিট
কেঁচো আর কাঁকনের জোড়হাতে পরে ঢেউ
খানিক জিরিয়ে নিয়ে সাঁতার ভুলে দাঁড়ায়
দুধঘুম চোখে জড়িয়ে বাম হাতে ছাইপাশ
চাতালের নাম নেই তবে জানা যাবে শেষে
সুগন্ধি সাবানের বিলাস চুলখেলায় ঝিকি
তার শরীর নিমের ডাল ছুঁয়ে পরিক্রান্ত সুখ
প্রেতিনী মৃতের সকল নৈঃশব্দ্য ভেঙে দেয়
প্রেতিনী শাদা আর কালো পূর্বপশ্চিম
আমি তার উরুমূলে প্রাণ সঁপে রক্তপান করি
করাতিয়া ক্যাম্প
গভীর বনে একটা করাতিয়া ক্যাম্প আছে
তার দূরগামী চোখ আমাকে গ্রাস করে
আমি করাতকলের দিকে তাকিয়ে থাকি
করাতিয়া দল একদা কাঠ এবং গাছ ছিলো
নপুংসক বনষ্পতির ঝাড়ে শুকনো রতিরঙ
আমার ডান কাঁধে বসে বাঁ পাশের প্রহর
প্রহর একদিন করাতের দাঁতে ক্ষয়িষ্ণুশব্দ
ভাবি করাতের ভীষণ এক দাঁত হয়ে যাই
করাতিয়া আর মৃত্যু যুগলবন্দী নাচ
আমাকে ঘিরে সাজিয়ে চলে অমৃত ক্রন্দন
দেখি আমার শিকড় বিস্তারিত করেছে বন
গোপন খাতা
মনে হলো একফালি হাওয়া লিখে ফেলি গোপনখাতায়
খাতাটা হারিয়ে গেছে শহরের পথে
চাইছি জানলার বুক গলে আসুক পৃথিবীর সমস্ত বাতাস
আসুক ঘাস আর কলাপাতায় ভর করে
জানলাটা পালিয়ে গেছে অবলীলায়
শহরের রাস্তাটা উঠে গেছে শেষে করিডোরে
জানলাখানি গোপন খাতায় লিখেছি একদা অস্ফুট ভোরে
0 মন্তব্যসমূহ
অস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।