২১
হল আবার ভোর। আবার আমি অভিযুক্ত
জ্বলল আবার আগুন। বর্বরেরা উল্লসিত
ভিখিরিদের সাথে, পাগলদের সাথে আর ছেঁড়া জামা
আমাকেও ধরা হোক, ঠেলে ফেলে দেওয়া হোক কালের কিনারে
এই তো আমাদের খোয়াবনামা!
২৯
টক হয়ে গেছে জিহ্বা, গর্ভবতী ফেলে শুধু থুতু
গর্ভের শিশুটি বোনে দুঃখজাল জীবনের সেতু
৪৩
গাধা তুই বুকে ওঠ, সাম্রাজ্ঞী বলেন
ফকির দাঁড়িয়ে দ্যাখ এই পশুপ্রেম
ফকির বিনয়ে বলে হয় নাকি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
না-হয় আমি-ই পেছনে থাকি, মান্যবর গর্দভ সম্মুখে...
৫৫
সেদিনও এমনি করেই জ্বলে উঠেছিল আগুন
সেদিনও এমনি করেই ঝল্সে গেছে ক্লান্ত বুড়ো বট
ভেতরে ভিক্ষুণীদের আর্তনাদ পুড়ে যাচ্ছে মঠ
সেদিনও এমনি করেও নেচে উঠেছিল উল্লসিত হূন...
৬৩
দু-মাথা শকুন জানে ইতিহাস কীভাবে ধর্ষিত
একমাথা স্বপ্ন দেখে, অন্যমাথা আহারে ব্যাপৃত।
৬৪
জ্ঞানীর টেবিলে পোড়ে মাংসময় মোম
মাঝরাতে নারী বলে, এতটা অক্ষম!
৮১
ফকিরের কাছে এসে দারুণ যুবতী
কী তোর ঝুলিতে আছে - যার কথা এত করে শুনি!
আমার ঝুলিতে আমি, সহাস্য ফকির
তুই যদি ছুঁয়ে দিস, হা হা করে বিষ ঝরবে শিবলিঙ্গটির।।
২১৪
এ দেশে মেলে না ভিক্ষা - শুধু কান্না রোল
অথচ দুর্ভিক্ষ নেই - মুখগুলো গোল
ফোঁপর দালাল যারা - নির্বিকার সুখে
কুকুর-কুকুরী হয়ে গুহ্য শুধু শোঁকে
কত গ্ৰাম পুড়ে গেল - গুলিতে ঝাঁঝরা
তাতে কিছু আসে যায় - টান টান বাড়া
আমার সময়ে আমি মদ্য-মধুকরী
ধর্ষিতার পাশে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসি।
[এমনি ২১৫টি দোঁহা নিয়ে কবি অরুণেশ ঘোষের এই কাব্যসংকলন: ‘দোঁহাসমগ্র’৷]
0 মন্তব্যসমূহ
অস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।