....

বাল্যকালের বায়োস্কোপ

ছবি: আন্তজাল থেকে গৃহিত
                   শুভ্র সরখেল 
আমি বড় হয়ে উঠি, বয়সের সাথে বেড়ে ওঠা
ভূলগুলো ছিড়ে
জন্মের পরশুনেছি পূর্ব পুরুষের মহাভারত
মহাদেবের তান্ডব নৃত্য
ঘুরে এসেছি আমাজান হতে চিরহরিৎ বন ।
এখনো শোনার বাকী আছে পলাশির সর্বশেষ সত্য!
আমি বিজ্ঞ হয়ে উঠি, সময়ের দেয়া
অভিজ্ঞতা বুঝে
চিলমারী থেকে জয়পুরহাট শেষে কাহালু,
মাঝে মধ্যে বড় মামার সরকারী কোয়াটার
মায়ের ভয়-
শেষে ছেলেটা যেন বিগড়ে না যায়।
শেষ অবধি বাদ পড়া জীবনের মাটি -মাখা সময়!
আমার মানুষ হবার দীর্ঘ পথ জমে রেখে
দেই বসুন্ধরার কোলে।শেষ-মেশ মানুষ হবার পুনঃপ্রচেষ্টা!
আমি ঘুম থেকে জেগে উঠি, কাল-মার্কসের
অংক গুলো কষে
কিছু ক্ষমা এসে জমা আছে আমাকে শাস্তি
দেবার জন্য। জীবনের খানিকটা সময়
এখনো পড়ে আছে অপেক্ষায়। পেয়েছি নতুনভাবে
হারিয়ে যাবার আতঙ্ক।
আমি শান্ত হয়ে উঠি, প্রকৃতির দেয়া
রংধনু চিনে
আশীর্বাদ নয়
শুধু মৃত্যুটা হোক, শব্দহীন, চুপচাপ।
আমি রাত্রির কাছে হেরে গেছি।
ভীষন আঘাত হানে গত সকালের সূর্যটা-
ভেংচি কাটে
সমস্ত বিকেলের গাছতলার ছায়াভরা বিছানায় বসে থাকা,
সেই দুজনের প্রেম!
পৃথিবীর সমস্ত চাঞ্চল্য আমার বন্ধু ছিল একদিন।
আমি স্বাভাবিক হয়ে উঠি, ভাগ্যের
কর্মশালা দেখে
জুলিয়াস সিজারের নোট বুকে লেখা ছিল
“ভগবনের কোন বিবেক নেই”
আর আমরাতো নেহাতিই সাধারণ বান্দা।
তাই কখনো অভিশাপ দিও না
এই বলে...
“বাবা অনেক বড় হও”

কবি পরিচয়: কবি শুভ্র সরখের আটের দশকে কুড়িগ্রাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। একটি কবিতা বই প্রকাশিত হয়েছে বাঙ্ময় প্রকাশনা থেকে, ক্রমাগত অন্ধকারে ডেস্কটপের ছায়া (জানুয়ারি, ২০১২)। প্রতিষ্ঠানবিরোধী তরুণ এই কবি বিন্দুতে লিখছেন নিয়মিতভাবে। টোকা ৩ এ আমরা তার বাল্যকালের বায়োস্কোপ ছেপে আনন্দিত, যেখানে প্রকাশিত হয়েছ কবির বাল্যকালের কাহিনীস্বর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ