....

রাশেদুন্নবী সবুজের পাঁচটি কবিতা

এ ডান্স নাইট জার্নাল    

ছোপ ছোপ অন্ধকার, নিঃসাড় ধরলা পাড়..
মগজের প্রধানতম নর্তকী, ব্যস্ত, হৃদয়নীড়ে
তা-তা-থৈ-থৈ, থৈ-থৈ-তা-তা, ছাতা!
অর্থহীন, যতসব উৎসব;
অলোকসুন্দরকুমারী মুখ লুকায় সবুজ পাতায়
তার, সময়, যেনবা পাখিডাকাভোর
ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
কিন্তু পাগলীবতী কাঁটায় আমার রক্ত মেখে
ও গাছের সাদা গোলাপ এখনও লাল হয়ে ফোঁটে
ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
শুনেছি, আষাঢ় এসেছে ফিরে, চোখ..
উত্তরের দিকে; দক্ষিণের দিকে;
পুবের দিকে; পশ্চিমের দিকে;
দৃষ্টি, ফেলছে না; কেঁপে, উঠছে না



পা’গুলো হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্তি কুড়ায় অমাবশ্যার আলোয়

সড়কে সড়কে, প্রেমের সতেজ উৎসবে, আহ্বানে..
অন্তহীন, হাঁটছে, পা’গুলো, একমুখি..
মিছিলের ¯োগান বেয়ে নেমে আসে সূর্যমুখী, ফুল
নান্দনিক ভুল, তবু পাখির ভ্রমণ তালিকা বাতাসডানায় লেখা হয়
আর, সপাং সপাং সয়েচলা ব. ল.. দ...
নিরবধী, ধীর, স্থির..
ভাবনার পিচ্ছিল আলপথে আধশোয়া আমি
কাঁদার ভেতরে আঁকি রাঙাশিল্প.. .. .. .. ..
রক্তাক্তসৈকতে সংস্কৃতির জোয়ারভাটা সন্ধান
(ইদানিং / ষোড়শি / থেকে থেকে / চিৎকার করে ওঠে /)
খেলেযায় নাজানি কোন বসন্ত; অফুরন্ত
দুঃখের সৌরভ ভেসে যেতে থাকে সরিষাহলুদ
বারুদ, প্রতি রাতে বিস্ফোরিত হয় না..
আয়না, দেখি, সে, দেখতে পারে না..




এটি একটি প্রেমের কবিতা হতে পারতো

টাইটানিক প্রত্যয় ছিলো আমার উপর তোমার,
সত্যের সামনে দাঁড় করাতেই তুি ম ভেঙে পড়লে টুইন টাওয়ারের মতো;
মিগ টোয়েন্টি নাইনে মন ছুটতো তোমার পাড়ায়,
ভেঙে দিলে পাড়াটা বেবিলনের শূন্যদ্যানের মতো।
কৃত্রিম উপগ্রহে ধরা পড়েনি আমাকে দেয়া তোমার প্র ম চুমু,
তোমার ভালোবাসা পাওয়া পাঞ্জাবিটা ব্রিটিশ মিউজিয়ামে স্থান করে নিয়েছে;
রোমিও-জুলিয়েট লাইলি-মজনু খুনি শাহজাহানের মতো তোমাকেও
জানবে,
ডবিউ ডবিউ ডবিউ ডট মেঘবালিকা ডট কম-এ ঠিকানায়।



কাঁচা মরিচের তীক্ষতায় বাগানেই কাঁটা পরে উত্তপ্ত ছুরি..

এখানে পুণ্যবিরুদ্ধতা
পবিত্র পাপাত্মা কুড়ায় বিশুদ্ধতা; অবিরাম
তবুও অমাবশ্যার নিস্তব্ধতা ছুঁতে পারেনা বুড়ো শ্মশান
অন্তহীন পথে নকশা এঁকে চলে অঘ্রাণের ঘাসপাতা
ছায়ার ভেতর অমরতা খুঁজে পায় কালো শরীর
ক্ষুধার্ত শিশু (জীবন্ত কংকালও হতে পারে)
যেনবা আকাশ দেখে মুচকি হাসে
অথচ পাঁচ মুহূর্ত শব্দ দষূ ণ সেরেও বেরিয়ে পড়ে সারিবদ্ধ কাস্তে..
আস্তে..
বলে ‘দিয়েছেন, বাঁচাবেন’
শালা, কুত্তা, বাচ্চা..
ফাইজলামোর জায়গা পাস না.. 

দীপাবলির মুখোমুখি..

গাঢ় অন্ধকার ফোটার শুরুতে গর্ভবতী প্রসব বেদনা বন্ধ করে
একফালি চাঁদ জোছনাসমেত নগড়ব আঙুল ছুঁলো ভেজা অশ্র“তে
তবু আন্দোলিত হলো না বুট’র ওপর দাঁড়ানো ঘৃণার শরীর
শুধু পেছন দেখিয়ে হাত’র ইশারায় পাঠ দিলে, যা ভাগ
স্তন থেকে দু’ফোঁটা গভীর দগ্ধু বেড়িয়ে এসে বিদ্রোহ করে
সঙহতি প্রকাশ করে লাল পিরান’র প্রতিটি কালো বোতাম
গন্ধমাখা মোজা-ট্রাউজার-অন্তর্বাস-নিতম্বে ভাসা ঘাম
তবু সিগারেটে চুমো খেয়ে প্রজাপতি উড়িয়ে দিলে জলে
যা কিছু ভালোবাসি না তারাও নেকড়ের সুরে বলে ওঠে, যা ভাগ
মস্তকে কুয়াশা জমা কতগুলো কুতুর কুতুর লেলিয়ে চারদিকে
ভূতভবিষ্যতের জল-টলো-মলো মুলো চোষাচ্ছে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ
ক্ষুধা আমাকে ভিক্ষা নয় মৌচাকের সৌন্দর্য বিলাতে শিখিয়েছে
মিলনের সুখে মৃত্যু পানে মৌমাছির যেমন কোনো দুঃখ হয়না
তেমনি দেবতাহীন বসুন্ধরায় জলপাই পাতা’র অযুত বধ্যভূমি
তৈরি করতেও শ্রমিকের হাতুরি-শাবল একটুও কেঁপে ওঠে না
নিশ্চয়ই চাঁদের আলো অচিন পাহাড়ের সীমানায় খুঁজে নেয় ঠিকানা
বিশাল নগড়ব সমুদ্রে ঝুঁকি’র ভাঁজে ভাজভারাতুর নীল নীলে নীল হয়ে
সবুজ জনতায় ঘুরে এসে স্মিত হেসে ফেললাম একটি পদক্ষেপ



[ কবি পরিচয়: রাশেদুন্নবী সবুজ এর জন্মস্থান কুড়িগ্রাম। বর্তমানে চাকুরীসূত্রে ঢাকায় অবস্থান করছেন। সম্পাদনা করছেন লিটলম্যাগাজিন 'বিন্দু'। তিনি বাঙ্ময় প্রকাশনা'র প্রকাশক। সম্প্রতি ই-বাঙ্ময় থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার কবিতার ই-বই  'এ ডান্স নাইট জার্নাল অথবা খোয়াবজাতবসন্ত'। ]

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ