পথিকৃত
ঝাপসার অন্ধকারটুকু
লেপ্টে ধরে চুলের পাঁপড়ি
মান্ধাতার মৃৎবৎসা
জেগে রয় আজন্মতার হাত ধরে
ঊনপাঁজুরে শেখায়
টি টি পড়া
উজ্জ্বল সন্তানদের গলাধঃকরণে
আমরা তবুও সীমান্ত প্রহরী
কালেভদ্রে
তোমার নিরবতার হাত ধরে
মমুক্ষ
আমরা মমুক্ষের পথিকৃৎ
খন্ড প্রতিচিত্র
১.
পরিমার্জিত, অবশেষটুকু
গলনাংকের পরিমাপে
ব্যপ্তি ছড়ায় না
জমে থাকা অনুভবের উষ্ণতায়
২.
আমাদের ভুলগুলো-
তোমাদের মিথ্যে করে
আমক্যান্ডির মত তুলে দিচ্ছ
আমজনতার মুখে
মরুর বুকে বৃষ্টির মত
শুষে নিচ্ছে তা, প্রত্যহ যৌবন
৩.
যৌবনের মূর্ছনায়
প্রদীপ জ্বলে মুখরিত তীর্থালয়ে
প্রশমিত হয়
কুমারীর ঋতুস্রাব
ধর্ষিতার রক্ত, প্রিয় হয়ে ওঠে
অতিসুখ পূজনীয় পবিত্রতায়।
কানামাছি ভোঁ, যাকে পাব তাকে ছোঁব
একরাশ মিটেল হাওয়া
ধানের শীষে
স্ব-øেহে পরশ বুলায়, শিকর
থেকে তুলে আনা উষ্ণতা।
অসংলগ্নতা পেতে চায়
পশমের হালচাষ
অনাবৃত জমিতে
আবাদের ধুম পড়ে যায়
অবস্বাদে ঘরে তুলে আনি
ফসল থেকে বীজ, প্রস্তর।
সকালের প্রভাত øান করে
ফেরে, গোধুলীর হাত ধরে
যাওয়া-আসার মাঝে
রেখে যায় স্মৃতিচিহ্নটুকু
কানামাছি ভোঁ-ভোঁ
যাকে পাব তাকে ছোব-
কিশোর কিশোরীর খেলনার পুতুল
হারিয়ে যাওয়া কোন
ঘাসের মাস্তুলে
জানবে না কখনো
মাটিতে পুঁতে রাখা
আমাদের ভুল।
রাশিচক্রের ঘোর অমানিশা
তোমার আঙুল ধরে
খসে পড়ে
জীবাশ্ম পোড়া খাঁচাহীন
নির্লিপ্ত আত্মা
কর্কটকান্তি ছুঁয়ে
ঘোর অন্ধকারে
রাশিচক্রে ডুবে গ্যাছে
সমস্ত শরীর, ভেতরে ভেতরে
রক্ত রেণু পেয়ালা ভরে
চেটে খাচ্ছে তেলাপোকা, শুককীট
চমৎকার!
নৌকায় মৃত্যুর পসরা সাজিয়ে
কুলখানি রথের আশায়
বেশ তো!
বেঁচে আছি, জেগে আছি
রাশিচক্রের ঘোর অমানিশায়
সর্মপন
ছ্যাড়াব্যাড়া কলমের কালি
দোয়াতের আঁচর লেগে
পবিত্র হউক তোমার
ক্লেদাক্ত আত্মা
সুবচনীয় বারতায়
গড়ে তোলা তুমি অবয়ব কালিমা
প্রভূ-
তোমায় ছাড়া বুঝি না
যতসব জীবন্ত আত্মারা
জীবন খুঁজে পায়
মৃত্যুর পরে
কীভাবে তড়পায় জিয়লশ্রেণি মাছ
দৈনিক টেবিলের সজ্জিত বাসনে
আমিষের অভাব শেষ হয়
কীভাবে জীর্ণ কায়া
ফুলে-ফেপে উঠে
তোমার ধূলিকাদা মাখা চোখের পরে
আর আমি ভাসতে ভাসতে
জলের ঠিক উপরে
মুখগুলো বাঁকা চাঁদের উঠান করে
প্রভুর,
পদতলে সর্মপিত হই
শামুকের ভিড়ে।
এইখানে আমরা
এইখানে আমরা
আস্তাহীন, দুরন্ত পাশব
খাপড়া, ইট, পাথর, বালু দিয়ে
তৈরি আমাদের সিংহাসন
ঝড়া ফুলের মন্দির প্রাঙ্গন।
এইখানে ভীর করে
পাগলা কুত্তারা, শানিত দংশনে
জীবন খুঁজে পায়
পঁচনশীল আত্মার সাথে লিপকিস
ধুলিকাদামাখা শরীরে শরীরে
চমৎকার সঙ্গম
তরঙ্গ মথিত সৈকত শিয়রে।
যেখানে আড়ষ্ট হয় না
তোমাদের পদ্মভ্রুণ
অন্যদের মতো
আমাদের সাথে।
[ কবি পরিচয়: কবি শামীম সৈকত জন্মগ্রহন করেন কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানায়। শ্বেতপত্র সম্পাদনা পরিষদের সদস্য তরুণ এই কবি বিন্দু ও শ্বেতপত্রে নিয়মিত কবিতা লিখেন। ছাত্র ইউনিয়নের সাথে যুক্ত আছেন। তার কবিতায় আমরা মানুষের হতাশা, পদ্মভ্রুণ, ক্লেদাক্ত আত্মা প্রভৃতির কথা আমরা লক্ষ করি। ]
ঝাপসার অন্ধকারটুকু
লেপ্টে ধরে চুলের পাঁপড়ি
মান্ধাতার মৃৎবৎসা
জেগে রয় আজন্মতার হাত ধরে
ঊনপাঁজুরে শেখায়
টি টি পড়া
উজ্জ্বল সন্তানদের গলাধঃকরণে
আমরা তবুও সীমান্ত প্রহরী
কালেভদ্রে
তোমার নিরবতার হাত ধরে
মমুক্ষ
আমরা মমুক্ষের পথিকৃৎ
খন্ড প্রতিচিত্র
১.
পরিমার্জিত, অবশেষটুকু
গলনাংকের পরিমাপে
ব্যপ্তি ছড়ায় না
জমে থাকা অনুভবের উষ্ণতায়
২.
আমাদের ভুলগুলো-
তোমাদের মিথ্যে করে
আমক্যান্ডির মত তুলে দিচ্ছ
আমজনতার মুখে
মরুর বুকে বৃষ্টির মত
শুষে নিচ্ছে তা, প্রত্যহ যৌবন
৩.
যৌবনের মূর্ছনায়
প্রদীপ জ্বলে মুখরিত তীর্থালয়ে
প্রশমিত হয়
কুমারীর ঋতুস্রাব
ধর্ষিতার রক্ত, প্রিয় হয়ে ওঠে
অতিসুখ পূজনীয় পবিত্রতায়।
কানামাছি ভোঁ, যাকে পাব তাকে ছোঁব
একরাশ মিটেল হাওয়া
ধানের শীষে
স্ব-øেহে পরশ বুলায়, শিকর
থেকে তুলে আনা উষ্ণতা।
অসংলগ্নতা পেতে চায়
পশমের হালচাষ
অনাবৃত জমিতে
আবাদের ধুম পড়ে যায়
অবস্বাদে ঘরে তুলে আনি
ফসল থেকে বীজ, প্রস্তর।
সকালের প্রভাত øান করে
ফেরে, গোধুলীর হাত ধরে
যাওয়া-আসার মাঝে
রেখে যায় স্মৃতিচিহ্নটুকু
কানামাছি ভোঁ-ভোঁ
যাকে পাব তাকে ছোব-
কিশোর কিশোরীর খেলনার পুতুল
হারিয়ে যাওয়া কোন
ঘাসের মাস্তুলে
জানবে না কখনো
মাটিতে পুঁতে রাখা
আমাদের ভুল।
রাশিচক্রের ঘোর অমানিশা
তোমার আঙুল ধরে
খসে পড়ে
জীবাশ্ম পোড়া খাঁচাহীন
নির্লিপ্ত আত্মা
কর্কটকান্তি ছুঁয়ে
ঘোর অন্ধকারে
রাশিচক্রে ডুবে গ্যাছে
সমস্ত শরীর, ভেতরে ভেতরে
রক্ত রেণু পেয়ালা ভরে
চেটে খাচ্ছে তেলাপোকা, শুককীট
চমৎকার!
নৌকায় মৃত্যুর পসরা সাজিয়ে
কুলখানি রথের আশায়
বেশ তো!
বেঁচে আছি, জেগে আছি
রাশিচক্রের ঘোর অমানিশায়
সর্মপন
ছ্যাড়াব্যাড়া কলমের কালি
দোয়াতের আঁচর লেগে
পবিত্র হউক তোমার
ক্লেদাক্ত আত্মা
সুবচনীয় বারতায়
গড়ে তোলা তুমি অবয়ব কালিমা
প্রভূ-
তোমায় ছাড়া বুঝি না
যতসব জীবন্ত আত্মারা
জীবন খুঁজে পায়
মৃত্যুর পরে
কীভাবে তড়পায় জিয়লশ্রেণি মাছ
দৈনিক টেবিলের সজ্জিত বাসনে
আমিষের অভাব শেষ হয়
কীভাবে জীর্ণ কায়া
ফুলে-ফেপে উঠে
তোমার ধূলিকাদা মাখা চোখের পরে
আর আমি ভাসতে ভাসতে
জলের ঠিক উপরে
মুখগুলো বাঁকা চাঁদের উঠান করে
প্রভুর,
পদতলে সর্মপিত হই
শামুকের ভিড়ে।
এইখানে আমরা
এইখানে আমরা
আস্তাহীন, দুরন্ত পাশব
খাপড়া, ইট, পাথর, বালু দিয়ে
তৈরি আমাদের সিংহাসন
ঝড়া ফুলের মন্দির প্রাঙ্গন।
এইখানে ভীর করে
পাগলা কুত্তারা, শানিত দংশনে
জীবন খুঁজে পায়
পঁচনশীল আত্মার সাথে লিপকিস
ধুলিকাদামাখা শরীরে শরীরে
চমৎকার সঙ্গম
তরঙ্গ মথিত সৈকত শিয়রে।
যেখানে আড়ষ্ট হয় না
তোমাদের পদ্মভ্রুণ
অন্যদের মতো
আমাদের সাথে।
[ কবি পরিচয়: কবি শামীম সৈকত জন্মগ্রহন করেন কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানায়। শ্বেতপত্র সম্পাদনা পরিষদের সদস্য তরুণ এই কবি বিন্দু ও শ্বেতপত্রে নিয়মিত কবিতা লিখেন। ছাত্র ইউনিয়নের সাথে যুক্ত আছেন। তার কবিতায় আমরা মানুষের হতাশা, পদ্মভ্রুণ, ক্লেদাক্ত আত্মা প্রভৃতির কথা আমরা লক্ষ করি। ]
0 মন্তব্যসমূহ
অস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।