....

নাজমুল হোসাইনের কবিতা | দিব্যক



পৃথিবীটা রাস্তার সমষ্টি

পৃথিবীটা, রাস্তার সমষ্টি— মানুষের পা ধরে ঝুলে আছে

এতে মানুষের
আপত্তি থাকলে হাডুডুকাণ্ড ঘটে যেত

বরং, প্রতিবার ভ্রমণে খোয়া যায়
একেক মাত্রার বিস্ময়

অসংখ্যবার স্নান ঘটার জন্য
কোনো দাপাদাপি ছাড়াই
চৌবাচ্চায় ডুবে যায় মানবচিত্রের হাতপা

স্নানঘরে যাওয়ার পথে পোশাক খোলার ভাবনায়—
বাড়িটাকে ঝুলিয়ে রাখে পৃথিবীর বাইরের কোনো নদীর উপর


তামাশাভরা

নামের পাশে চিহ্ন জড়ো করছি
নামের শরীর বড় হচ্ছে

কেউ ডাকলে (/বহুদিন কেউ না ডাকলে) ভাবনা হয়:
দিনদিন ছোট হয়ে যাচ্ছি

ভাবনা হলো নিজের কাছে সাইড চাওয়ার হুইসেল

আমার সমস্ত চিন্তার পাশে ইয়ার্কি জমে আছে

তামাশাভরা ঝুরঝুর সময়ে—
কোথাও আকাশ ফোটার শব্দে
মনে হয়— কেউ নাম ধরে ডাক দিল


বর্ণপরিচয় 

বর্ণপরিচয়ের আগে
ঝুঁকে তাকিয়ে শরীর শিখেছে

এমন মনুষ্যপ্রাণ—

বয়স মোতাবেক— শরীরে
তেলতেলে বাটা-মসলা জমতে থাকে

নিদ্রার সময়টুকু দুঃখ রান্না করার জন্য বরাদ্দ রাখলে
লবঙ্গ পোড়া গন্ধে দেখি প্রেমিকার চোখ টলে

একদিন কোথাও নামের শব্দমূল ফুটে-ফেটে
ঝনঝন বেজে ওঠে
[বয়স, শরীর, ধোয়া, ঝনঝনতীব্রতা— তৃষ্ণা'র উৎপাদক]

অথচ, প্রাণ— এক গ্লাস শরীর পায়নি পান করবার


আয়ু

ঘড়ির কাঁটায় কাঁপুনি— লজ্জায় খসে পড়ে টিকটিকির লেজ

তোমার সামনে এসবের দাপাদাপি হলো
মশারি ভেঙে তুমিও ঢুকে পড়লে এক কিশোরীর ঘুমে

এখন দুজনেই স্বপ্ন দেখছ
পাঁচ ভেঙে আড়াই আড়াই

এতো যে হাতবদল হয় আয়ু, চশমার কাচে জমে এর কিছু?

আয়ুর ডিজিট.....?

দশক-শতক-সহস্র এত ছোট্টঘরের সংখ্যা গোনার চেয়ে
শূন্যকে লক্ষাধিকবার গুনতে ভারী লাগে

ভারী শব্দে কাঁপুনি হয়
প্রতিদিনের একটু বাড়তি অংশ ঝুলে থাকে আগামীর দিকে
আমি সেই পাটাতনে পা রেখেছি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

  1. বিন্দু লিটলম্যাগে এনাকে প্রথম পড়ি৷ তৈরপর এখন পড়লাম৷ সুন্দর লিখছে কবি

    উত্তরমুছুন
  2. দুর্দান্ত স্টার্টিং, আরেকটু সময় দিলেই শানিয়ে উঠবে দস্তুর, জয়তু, জয় অনিবার্য এই কবির হাতে...

    উত্তরমুছুন

অস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।