....

অর্চনা রায় এর কবিতা | দিব্যক


 

আমার মায়ের ঘর

দীর্ঘ দেড় বছর আমার মায়ের ঘরটা
মিস করি রোজ... 
যেখানে আমার আধিপত্য ছিল মাত্রাধিক
ঘরের প্রতিটি জিনিস আমার গোছানো থাকা চাই–
এ খুঁতখুঁতে স্বভাব, বিরক্ত আমার বোন!

রেহাই পেয়েছে আমার মায়ের ঘরটা 
যত সব ঝাড়ুর বাড়াবাড়ি
যত সব বদ অভ্যাস ছড়াছড়ি...
এই দেখো!
একটা মাস কেটে গেল বাইরে আছি 
একবারও জিজ্ঞেস করা হয়নি 
রুমটা কি গোছানো আর চকচকে আছে এখনো?
হয়তো—
নয়তো ধুলো লাগতে শুরু করছে 
স্তরে স্তরে জমতে জমতে পুরু হবে...
জানি আমার বইগুলো আর নতুন থাকবে না
মাকড়সার জালে
তেলাপোকার অত্যাচারী বিচরণে–
ধুলোর পাহাড় জমবে
লেখকের নামগুলো ঢেকে যাবে।

ওই ধুলো ময়লা পরিষ্কার করার
দিনগুলো আমার সীমিত হোক....
মায়ের বিছানায় হাত পা ছড়িয়ে 
ঘুমানোর সময়গুলো আবার নিকটে আসুক
প্রিয় জানালায় উঁকি দিক সূর্যের রোদ্দুর...



তাই হোক

হারিয়ে যাওয়া সময় 
রোজ জোড় পায়ে পিছিয়ে যাক
সীমাহীন 
জীবনের গভীর শব্দার্থের ভীড়ে...

কলমে আঁচড়ে পড়া
আমার গোপন কথাগুলো ফুরিয়ে যাক প্রত্যহ

কথার বর্ণমালা সময়ের কালো কালি খুঁজে পাক
সাদা কাগজের পৃথিবীতে জীবনের অর্থ, 
অকাল মৃত্যু আত্মীয়ের শোক অন্তরে থাক জ্বলন্ত
 
জনম দুঃখী জীবন 
চলুক জনতায়
নিরবতার দূরত্ব হোক মলিন

আমার মৃত্যু– সাদা কাফন
জীবন– কালো কালি অন্ধকার
যেমন কবিতার স্তবক।

 আমার কবিতার খাতা
 কলমের কালি
 সভ্যতার দেয়ালে সাক্ষ্য রাখুক...


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

  1. বাহ! ভাল লাগলো কবিতা

    উত্তরমুছুন
  2. এই অংশটুকু অসাধারণ “ আমার কবিতার খাতা
    কলমের কালি
    সভ্যতার দেয়ালে সাক্ষ্য রাখুক..” মুগ্ধ হলাম। সম্পাদককে এমন সুখপাঠ্য কবিতা ছাপানর জন্য ধন্যবাদ।

    উত্তরমুছুন

অস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।