নিরব ধর্ষক কিংবা কোন পুরুষ
নর্তকীর নগ্ন নৃত্যে রতির তারনায় পুরুষ আরও পুরুষ হয়ে ওঠে
শুরু হয় সুখ খোঁজা পাখির ছটফটানি
এই সংস্কৃতি যারই হউক না ক্যান আজ আমাদের দখলে
নারী আর পণ্যের পার্থক্য এখানে নেই এতটুকু
দুটাই প্রদর্শনী হয় হর হামেশাই
আর আমরা নিরব দর্শক কিংবা কোন পুরুষ।
অভিসার
শুক্লা দ্বাদশীতে আমাদের আবারো মিলন হবে
নিশিতে কোন নির্জন তেপান্তরের মাঠ
তখন জোনাকী জ্বালাবে নিয়ন আলো
গলা ছেড়ে গেয়ে উঠবে ঝিঁঝিদের দল,
সব পাখি ফিরে যাবে নীড়ে ক্লান্তি শেষে,
নিশাচর পাখি জেগে থাকবে আমাদের মত
স্বাক্ষী হয়ে জানান দিবে উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু
ভেসে আসা কোন বুনো ফুলের সুবাসে মাতাল বসুধা
আমরা দাঁড়িয়ে থাকব মুখোমুখি
একান্তে এক নব অভিসারে
কিছুক্ষণ পর আমাদের নিশ্বাসের শব্দ বেড়ে যাবে।
ভুলে যাব কোথায় আছি?
কোথায় ছিলাম ?
ভুলে যাব আমাদের পরিচয়, আমাদের পিতৃ-গোত্র,
আমাদের হীন সমাজ,
আমাদের অস্তিত্ব,
আমাদের দুষ্ট অতীত।
অতঃপর বিলিন হয়ে যাবে সব
সুবহে সাদিকের নতুন পরিচয়ে।
যদি প্রস্থান করি
উঠানে দাঁড়িয়ে দেখছো কি কোনদিন প্রিয়জনের প্রস্থান
জানো কি ট্রেনের হুইসেলে মিশে থাকে কত বিরহ বেদনা
শুনছো কি বোকা বৃক্ষের সবুজ পিরান হারানোর হাহাকার?
সাদা কাফনের দেহটাকে কাঁধে নিয়ে হেঁটে যায় শবযাত্রী
করুণ কান্না মাঝেমাঝে বিরক্তি বাড়ায়
ট্রেনের হাজার লোকের ভিরে দুএকজন গৃহত্যাগীও থাকে
থাকে প্রিয়তমা বধুর প্রস্থানরত স্বামী
বোবা বৃক্ষ দাঁড়িয়ে শুধু শুশ্রূষাহীন কষ্টই পায়।
একদিন শবযাত্রা কিংবা ট্রেনে আমাকেও খুঁজে পাবে তুমি
সেদিন বৃক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে থেকো কষ্ট নিও নাকো।
0 মন্তব্যসমূহ
অস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।