বিচ্ছিন্ন কবিতা
নদী দেখতে এলে বন্ধু? নদী!
চলো হেঁটে যাই অনেকদূর,
এই হলো তপ্ত বালুচর— সুর্য্য যেখানে
দ্বিধাহীন ভালবাসায় উম্মত্ত। দূর পানে তাকালে
ভেবে রেখো তিন সরল সত্য—
আগুন বিছানো পদতল সবুজ শ্যামলীমার অতীত,
ফুল-ফল ফসলহীন অনাবাদী বিরাণ মরুভূমি কিংবা
করালগ্রাসী বন্যায় ধ্বংসপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর প্রত্নতত্বের
অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। মন ভেঙে গেল বুঝি?
তবে উত্তরে তাকাও
আমাদের মানচিত্রের উত্তরাংশের আদলে জেগে
উঠেছে দ্বীপ। কি দেখছো— না ওটা ঝাউগাছ নয়!
উত্তরবঙ্গের বাসন্তী, আমাদের মা।
কখনো জালপড়া কিংবা এক পেচা ছেড়া কম্বলের
ফাঁক গলানো চুপসে যাওয়া স্তনের করুণ রূপবতী
সেই নারী। যাকে দেখে থাকবে সংবাদপত্রে
নয়তো চ্যানেলের স্ক্রীনে।
যেখানে বসে আছে সে— সেখানেই সব ছিল তার
স্বামী-সন্তান গরু-ছাগল সাজানো ঘর দুয়ার
সেবারের বন্যায় মুহুর্তেই শুরু
নিমিষেই সব কিছুর ইতি! কোলের সন্তানটাকে
আঁচলে বাঁধতে পেয়েছিলো কোন মতে
রাখতে পারেনি— নারীর বাঁধন ছিড়েছে যার
একপেচা শাড়ীর বাঁধনে রুখিবে সাধ্য কার!
প্রাণে বেঁচে গেছে মা,তারপর শুধু অপেক্ষা! ইদানীং
কি করে জেনেছে যেন আমাদের গোপন কথাগুলো
খনা'র মত একাকী বলে যায় নিজের ভাষায়
"বাসন্তী'র সংখ্যা বাড়বে দিনে দিনে
চুক্তির জল পাবে মহাপ্লাবনে" কিংবা
"বাঁধের আশায় ঘর বেঁধো না বানে ভেসে যাবে
বাঁধের সমান বরাদ্দ হলেও বালির সে বাঁধ হবে"।
আজ আর কিছু নেই বাসন্তীর— উত্তরবঙ্গের মতো
এমনকি স্মৃতিও! এখন শুধু বসে থাকা
বিচ্ছিন্ন কবিতার পংক্তির মতো অথবা
আরেকটি বন্যার অপেক্ষায়-
ঘুর্ণিপাকে পড়ে যদি পৌঁছে যেতে পারে
খিজির (আঃ) এর দুয়ারে।
শুধু তোর
তোর বাগানের অপরাজিতা
হবো আমি। কষ্ট দিলে
হবো নীল,আর যদি সুখ পাই
তবে হবো সফেদ বর্ণিল।
তোর বাগানে ঠাঁই পেতে যদি
অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়,তবে
তোর শহরের ভাড়াটিয়া হবো আমি।
তোর ঝুল বারান্দায়
হৃদয়ের লনে-থাকে যদি এতটুকু ঠাঁই
দ্বিগুণ - চারগুণ মুল্যে কিনে নিয়ে
সেথায় বাস করবো আমি।
পথে হেঁটে যেতে-যেতে, বৃষ্টিতে ভিজে
তোর অলস সময় খুঁজে নেবো—
অসময়ের নিদারুণ কষ্টে তোর কন্ঠ থেকে
ভেসে আসে যদি বিরহের কোন
সুর আমি মনের মাধুরি মেশাবো তাতে
সে মদিরা পান করে তুই যদি
ভুল করে নতুন কোনো কবিতা লিখিস
আমি তার শব্দ হবো- অক্ষরবৃত্ত
মাত্রাবৃত্ত, স্বরবৃত্তের প্রয়োজনে
নিজেকে ভেঙ্গে নতুন শব্দের
অর্থ হবো আমি। একান্ত নিজের
যে শব্দ— শুধু তোর।
নিজের কথা
কিছু পেতে চাইলে— মাটির মতন হতে হয়।
মাটি যেমন সবকিছু হারিয়ে আবার ফিরে পায়।
মাটি হতে জন্ম নেয়া
উদ্ভিদ কিংবা প্রাণী—
কত দম্ভ তার, কা'র চেয়ে কে উঁচু
অবশেষে একদিন সেখানেই বিনাশ তার।
2 মন্তব্যসমূহ
আহা কবিতা
উত্তরমুছুনহায়রে কবি! হায়রে কবিতা!
উত্তরমুছুনবাংলা কবিতার গুয়া মেরে দিল এরা
অস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।