১.
দ্বিধাকে হাঁটিয়ে এনে শেষে
ঘাসফুলে এলিয়ে দিচ্ছি এখন, আমি কেনো ক্ষয়কাশের রোগীকে
জীবনের বানান শেখানো জীবন বেছে নিয়ে একলা হয়েছি গ্রহে!
সেই কথা উহ্য থাক, এক পশলা বৃষ্টিকে ফিরে পেতে
এ পাড়ায় ব্যাঙের বিবাহ আজ, ঘাড় গুজে আজ সারাদিন
আমার বিষণ্নতাকে পড়ে থাকতে দেখেছি বিছানায়, সেও জানে অবিশ্বাস কাকে বলে!
তোমাদের গুঞ্জন থেকে আমি
খড়কাঠি কুড়াতে এসেছি, দেশলাই ঠুকে
আগুন ধরাবো স্মৃতির, তারপর স্বপ্ন দেখতে দেখতে
ভিড় থেকে সরে দাঁড়াবো আবার!
আমি কেনো
গর্ভপাতে বিষণ্ন মায়েদের
মুড ফেরানো ওষুধ লেখা শিখে গেছি
সেই কথা বিশেষত্বহীন, প্রথার বন্দুক তাক করে
শত শত বাঙালি কবি সরে দাঁড়াতে বলছে, এই কথা বেফাঁস লাগছে কারো;
তোমাদের মশকরার সামনে
আমি ক'টা অক্ষর ফেলে দিয়ে এই ভাটিরাষ্ট্রের হাতে
অনেক উজান ধরিয়ে দিয়ে চলে যাবো
যেনো এই রাষ্ট্রকে নিয়ে ছেলেখেলা
ক্রীড়নকসহ ভেসে যায়, ডুবে মরে!
২.
(পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষার শিক্ষকের দাবীতে গুলিবিদ্ধ রাজেশকে)
মাত্রই পানের বরজ পার হয়ে এলো বৃষ্টি, নোকতার মতো হেডলাইট উসকে দিচ্ছে আলো;
এও ভালো, ভাষাতিমিরের নিচে শান দিচ্ছি মূর্ধন্য!
ঘুঘুডাক মনে হয় এই বাজের আওয়াজ
তাওয়াধরা উনুনের দিকে চেয়ে
নিভে থাকা তারাদের সংলাপ
এই ভাষাময় ফুটে থাকা ফুল চেনে?
দ্বিধাঘামে চুঁইয়ে নামছে হাওয়া
নির্মিয়মান নীড়ের ভিতর ভিজে
ঘুঘু আগলায় বৃষ্টিপাতের ধাওয়া
এই দ্বিমনে অভিপ্রায়ের ভাজে
কাঁপে শিকারীর রিভলবারের ছায়া
শিথিল ট্রিগার থামছে বিরাগভাজন
ডাকো তারে, নাম ধরে ডাকো, রাজন!
পাতাও পর্যটক
এই দেখো ভ্রমণক্লান্ত চোখ
একটা প্রগাঢ় ঘুম তাকে দেয় দায়সারা গোধূলির হাসি; এখানে পাতাও পর্যটক, স্রোতে পড়ে গিয়ে উধাও হচ্ছে কোথাও;
একটা প্রগাঢ় ঘুম তাকে দেয় দায়সারা গোধূলির হাসি; এখানে পাতাও পর্যটক, স্রোতে পড়ে গিয়ে উধাও হচ্ছে কোথাও;
সেদিকে, ক্ষণকাল চেয়ে থেকে এক নতুন চরের বালিতেআটকায়;
ঘুঙুরধারী পায়ের মতো একটানা হাঁটছে হৃদয়ে কেউ
কত কিছু বেনামে ওড়ে আর নামে, কালো ক্যাকটাসে ভরে যায় মহৎ মরুদ্যান-
এই সমস্ত অদিতিলন্ঠনের নিচে
আমার বাক্যেরা উজ্জ্বল, প্রেতপাখি ধড়ফড়ায়
স্মৃতির সামনে পড়ে, ভ্রমণে জ্বলে যাওয়া ত্বক
আয়নায় হাস্যোজ্জ্বল, তুমি এক মূদ্রানীতি,আমার সামনে খুলে রেখেছো ভ্রুকুটি; একটা জনমভর, ঢেউ পেয়ে রোদকে ডাকছে জল;
আমার বাক্যেরা উজ্জ্বল, প্রেতপাখি ধড়ফড়ায়
স্মৃতির সামনে পড়ে, ভ্রমণে জ্বলে যাওয়া ত্বক
আয়নায় হাস্যোজ্জ্বল, তুমি এক মূদ্রানীতি,আমার সামনে খুলে রেখেছো ভ্রুকুটি; একটা জনমভর, ঢেউ পেয়ে রোদকে ডাকছে জল;
এই বুঝি তিতিক্ষার পাড়ে, ফিরে আসে স্মৃতির সরোদ ;
অশ্রুও প্রাণান্ত হয়, কারো হয় পোষমানা কেউ; শান্ত ও শারদে পূর্ণ মেঘ, দিগন্তে উপচে পড়ে
মায়ায়, মৃত্যুকে ঘাড়ে প্যাঁচানো মাফলার বলে ভ্রম হয়!
মায়ায়, মৃত্যুকে ঘাড়ে প্যাঁচানো মাফলার বলে ভ্রম হয়!
শিকার
আজ কোনো প্রহরীর দিকে ছুটে আসে তারাদের ছুঁড়ে দেয়া শিস, আর সেইসব শিসের টুকরা কুড়াতে পৃথিবীতে মেঘ নামে, যেনো প্রশ্নপত্র বাঁধা এক দিগন্তের অধিকারী তুমি, শিকারে এসেছো আর ডাল থেকে ডালে ঝাঁপ দেয় ভ্রান্ত বানর, ভগ্ন হৃদয় থেকে আসে বাজের আওয়াজ– কার হাতে তুলে দিতে চাও, একে?
তুমি এক গল্পের ঘোর থেকে ছুটে যাও আরেক যুদ্ধগাঁথায়, মাটিতে দেবে আছে কর্ণের রথের চাকা, ভীম নেই তবু শোনা যায় শল্যের চিৎকার; তুমি নিঃসঙ্গ, নিজেই ছিঁড়েছো তোমার হাস্যোজ্জ্বল ফটো, ঘর থেকে হাত বের করে আঁচ করতেছো শীত।
ঠান্ডা বাতাস আসে, মৃতদের কথা নিয়ে নির্বাক পৃষ্ঠা ওড়ে, সমস্ত রাত;
এই ফাঁকে ভেবে নিতে চাও নাকি, কলোনির ছাল ওঠা ছাদ?
ঐদিকে হেলে আছে কাকতাড়ুয়া, ধান থেকে ধানের দূরত্বে উঁকি দেয় শোলের পোনা, বাতাসে জুড়ায় নিশি; ধরো, এই পথ একদিন তোমারই ছিলো- এঁকেবেঁকে এসে সারারাত শেষে পেয়ে গেছে সড়কের দেখা, এই মাটি তোমার চেনা; এইখানে, তিতির গড়িয়ে নেমে আসে গম্ভীরা!
কতো রাত থেমে গেছে ঢালের দিকে এসে, হোস পাইপ-চাতাল লক্ষ্য করে; দ্যুতি ও দন্ডের কাছে ম্লানপ্রায় জীবনচিত্র নিয়ে, কতোদূর যেতে পারো তুমি?
নিশিডাক, আকাশে বিছানো দেখো;
মেঘ হতে মেঘে, উড়ছে জোনাক!
ডগার অহংকারে, বিস্ময় তাকে শান্ত করে, জলের বিস্মরণ থেকে জীবনকে উঁচিয়ে ধরে আছে মাছরাঙা, আকাশমণি গাছ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে-
কোলাহলে থেকে গেছে মেঘের গাঁথুনি যতো;যেনো হাত পেতে দিয়ে বৃষ্টি জমানো হাতে;যেনো প্রতিবেশী ছাদ হতে রোদ এসে, ঝলসে দিচ্ছে মুখ;
মৃত্যুও দূরবীন নাকি? দেখা দেয় আয়ুর মধ্যমা?
মুখে সংশয়, হাসি প্রত্যয় ছেড়ে, বেনোজলে ভাসে।
ঘূর্ণিকে বুকে নিয়ে বন্দরও চৌচির, অচেনা গানের মতোগুঞ্জনভিজে যাচ্ছে একাকীত্বে, দৃশ্য থেকে মর্মকে পৃথক করে
দূরত্ববোধ, কৃর্তিকে প্রশ্নে কাতর করে, উৎসের দিকে ফিরে আসে ঘন্টাধ্বনি!
দূরত্ববোধ, কৃর্তিকে প্রশ্নে কাতর করে, উৎসের দিকে ফিরে আসে ঘন্টাধ্বনি!
মগজে আয়াত বাজে হেমন্ত উচ্চারণে; মগজে মুর্দাফরাস, তিরোহিতপ্রায়; ত্রিদিক শূন্য করে মরুঝড় যেভাবে তাকায়-
লঘু হয় ধুলা পেয়ে, সাপের চলন মাঠে;
এদিকে বয়সভূগোলে যতিচিহ্নগুলি ম্যাড়মেড়ে হয়ে আছে
সবটাই মায়ার মলাট; দুলছে ক্রমশঃ বুনো ফুল, শ্যামলীপাতার ভারে!
লেখার টেবিল
রোদ পেয়ে ছন্দে পড়ে গেছে রাই সরিষার পাতা, পাশে এক কাকতাড়ুয়ার হাসি
খুলে রাখে পাখালপ্রতিভা, অতদূর ভাবতে পারি না আজকাল, যতটা বেঁকেছে ধনুক
বুকে ও বসন্তে!
যেনো এক মাথালের ভার
বইতে চেয়েছি একটা জীবন, স্নায়বিক আঁচড় টেনে
আঁকতে চেয়েছি জননীর প্রসব ব্যাথাকে, আমাকে চিহ্নিত করে
ভূগোলভর্তি রোদ প্রশ্নে কাতর, থৈ পেয়ে প্রখর পুকুরে
ডুবে যাওয়া খেলছে শিশু আর শিশুর গ্রামার, এখানে ফলন জুড়ে
ধানের সুরভী পাবে!
বইতে চেয়েছি একটা জীবন, স্নায়বিক আঁচড় টেনে
আঁকতে চেয়েছি জননীর প্রসব ব্যাথাকে, আমাকে চিহ্নিত করে
ভূগোলভর্তি রোদ প্রশ্নে কাতর, থৈ পেয়ে প্রখর পুকুরে
ডুবে যাওয়া খেলছে শিশু আর শিশুর গ্রামার, এখানে ফলন জুড়ে
ধানের সুরভী পাবে!
অতদূর যাচ্ছি না আর, অথবা চিত্রবোঝাই মড়কলাগা মাটিও
আমাকে বৃদ্ধ করে, নিরুত্তাপ করে, চূড়া ও চড়ক গাছ
মুখ ঢেকে বেরিয়ে যাচ্ছে, ছেড়ে যাচ্ছে লেখার টেবিল!
আমাকে বৃদ্ধ করে, নিরুত্তাপ করে, চূড়া ও চড়ক গাছ
মুখ ঢেকে বেরিয়ে যাচ্ছে, ছেড়ে যাচ্ছে লেখার টেবিল!
টোল পড়া নক্ষত্র
চুপচাপ দাঁড়িয়ে রয়েছি একা-সড়কবাতির ঘাড় জড়ানো ওড়নার মতো নিয়ন আলোয়
আমাকে উচ্চারণ ক’রে ক’রে অটোরিকশারা বাজায় ভেঁপু!
আমাকে উচ্চারণ ক’রে ক’রে অটোরিকশারা বাজায় ভেঁপু!
এরকম সন্ধ্যাবৃত্তে এসে সবুজ রচিত নগরীও
একটানা রপ্ত করছে মৃদঙ্গভাব; নিশ্চুপ দাঁড়িয়েছি কোনো আগন্তুক, আর অনেক অনেক মেঘের ভিতর দিয়ে মানুষের বিষাদ লক্ষ্য করছে টোল পড়া নক্ষত্র, কতগুলি ঢেউহীন মুখ এভাবে থামছে হঠাৎ!
একটানা রপ্ত করছে মৃদঙ্গভাব; নিশ্চুপ দাঁড়িয়েছি কোনো আগন্তুক, আর অনেক অনেক মেঘের ভিতর দিয়ে মানুষের বিষাদ লক্ষ্য করছে টোল পড়া নক্ষত্র, কতগুলি ঢেউহীন মুখ এভাবে থামছে হঠাৎ!
মনে মনে অরণ্যপাঠ আমাকে প্লাবিত করে-যেনো, এইদিকে চেয়ে পল্লবিত হলো নূহের ভ্রুকুটি, আরো প্রতিধ্বনি নিয়ে স্নায়ুগত হয় পাখিদের নীড়; চাঁদ হলো পিত্তথলি আর মহাবিশ্বে ধানের মতো মূর্ছনা দ্বিতীয়টি নেই, ক্ষীন ধারা নিয়ে সুবিল হাঁটছে বুকে!
এইটুকু বন্যতা নিয়ে
আছি এক শহর অধ্যায়ে, যেনো এক ঝর্নার সাথে
দেখা হয় প্রাতঃভ্রমণে, এটুকু উড্ডয়নে
মুখিয়ে রয়েছে পিঞ্জরপাড়!
আছি এক শহর অধ্যায়ে, যেনো এক ঝর্নার সাথে
দেখা হয় প্রাতঃভ্রমণে, এটুকু উড্ডয়নে
মুখিয়ে রয়েছে পিঞ্জরপাড়!
বৃত্ত
পিছুটানছুরির নিচে এ কাকে রেখে এলে হে মনস্তাপ?
এর চেয়ে বাগানব্যাপী, ভীরু মানুষের ছায়া লক্ষ্য করো
আলো জ্বালো টর্চে, একটা বাদামী খোসার ফল বুকে ধরে
দৌঁড়াচ্ছে বাদুড় বাদুড়ী, ক্ষীণতোয়া ঘাসের সাথে
পাল্লা দিচ্ছে, আরো বড় ঘাস, মৃৎফুল;
এরচেয়ে জীবনব্যাপী অনুশোচনার রঙে, আস্তর ঘঁষে মেজে
আলগা করো এই টর্চার সেল!
বৃত্তকে বলে দাও ব্যাস
মৃত্যুকে বলে দাও উর্মির ঠিকানা!
বাহিরে বেরিয়ে দেখো
মেঘ ঠেলে ঠেলে বিষম খাচ্ছে চাঁদও!
জিরাফ
মনে করি ভালোবেসে আছো, ডাঙা ও দ্বিধায়-
একটি মূর্ছনা অভিমুখে ভেসে আসে তারস্বর, মিঞ্জিরি ছায়ার নিবেশে
মৃৎফুল কারুকাজ, আমাকে শান্ত রাখে একাকীত্ব, মনে করি ব্যথা ও বিবিধ
সবই তুমি জানো!
আছি এক স্বীকারোক্তির মতো, দৃশ্যত, অলীক মৃগয়া ডাকে, চার পায়ে ডাকে
রণসজ্জার দৌড়- হয়তো জানালার দিকে এসে, বকুলে পূর্ণ হচ্ছে বাতাস!
অতুল জিরাফ দূরে
ঘাড় বেঁকে হেঁচকি লুকায়!
প্রায়শ্চিত্ত
আমাকে স্বপ্ন থেকে তুলে, আছাড় মারছে
তোমার অট্টহাসি- আর মেঘের দিকে হাত
যেনো স্পর্শের কাতরতা, তোমাকে বিহ্বল করে হে মাহুত!
গন্ডি পোষন করে হাঁপিয়ে উঠেছি ভীড়ে;
হাড় ভরা বেহুলা-কেতকী থাকে, নৃত্যরত; অনেক শিফন রঙে
গড়িয়ে যাচ্ছে, মনসা মঙ্গল, দেবার্চনায় জাগছে লখাই!
নিশিডাকে সাড়া দিয়ে অনেক দোদুল ছায়া, প্রাণভয়ে মুচড়ে ধরে
সাঁওতালি টগরের সাপ!
আমাকে ডাল ছুঁড়ে দিয়ে একটি ঝড়
বকমুখে উড়ে গেলো বলে, ছিন্ন পাতার দিকে মৃন্ময়ে চেয়ে
নিচু হয় অশোক উদ্যান।
প্রশ্নচিহ্ন জাগে প্রায়শ্চিত্তের মেঘে, আর মুখে উদ্বেগ রেখে গেছে বলিদাগ
এইভাবে আয়ুর বাসনা জাগে, অস্তিত্ব ঘিরে থাকা যত প্রশ্নকে অনন্তযৌবনা মনে হয়!
রূপকথা
ঝিরি ফুল ফুটে আছে বৃত্তে
আর হাতছানি মেনে নিয়ে মেঘ
দুপুরভর্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে রূপকথা, যেনো এক অন্ধের আয়ু
বাতাস থেকে লাফিয়ে হাঁটে মায়ার তরঙ্গে-
বৃষ্টিকে পল্লবিত লাগে, পানি জমে কোথাও ডুব মেরে আছে ঘূর্ণি
আমন্ত্রণ ধ্বনিত হয়, আরও আসে কূয়ার কল্লোল ভেসে, কোথাও কান্নার লিপিকে
বানান করছে দ্বিধা, একটা অন্বেষণের শুরু, সমস্ত কল্পনাকে তাড়া করছে গ্লানি!
এতোখানি উজানবাঁকে এসে, মৃত্যুও পিপাসার্ত নাকি?
এতোখানি একাকীত্ব কারো, মৃতদেহ ভারী করে তোলে?
মন থেকে শুরু এক উপকূল ঝাউবনে হেলান দিয়ে আছে-
এই পথে প্রবৃত্তিও আগাছায় পূর্ণ, আড়চোখে প্রশ্নচিহ্ন এসে
ভাঁজ করে রাখছে ললাট; করজোড়ে থাকি, মিমাংসাকে প্রতিহত লাগে!
স্পর্শ নিজেও মিথ, যেমন স্তন্যপানের স্মৃতি;
তারপর নিমেষেই, মেঘ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরে
উড়ন্ত একটা ঘুড়ি, বাড়িঘরে ধাক্কা খেতে থাকে!
যাত্রাবাড়ী
তোরা যারা হেঁটে গিয়েছিলি পাহাড়ে, আমি নিচ থেকে সবাইকে
নাম ধরে ডেকে দেখেছি, গোড়ালিতে জোর থাকাটা জরুরি, নিজেকে উঁচু দেখাতে কাজে দেয়-
ভাবতেছি, অথৈ অবধি পা ফেলার আগে
একবার ঘুরে যাবো পুরাটা শহর;
তিনদিকে সিঁড়ি নিয়ে হাওয়া খায় ফ্লাইওভার
আর তাতে দাঁড়ালে নিচকার মানুষ ও জীবিকা
কতোখানি তুচ্ছ দেখায়, দেখবো;
তোমাদের সুনীল ছাতায় বৃষ্টিকে হাসিখুশি ঝরতে দেখে
চিনচিন ব্যাথাও বুকে চাপা পড়ে যায়, আর সেই ব্যাথার ধারে এসে
সকালেই কোনও যাত্রী, যাবে বলে 'নছিমন-নছিমন' ডাকে!
0 মন্তব্যসমূহ
অস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।