আঙিনায় শাখা ম্যালা সুদর্শনা উদ্ভিদ
টবে গুঁড়ো মাটি
পাতার সবুজে ঝরা জল—
চোখে লেগে থাকে আপনার!
মৃত্যুর পূর্বে ও পরে— প্রথম ও শেষ চাওয়া আমার—
একটি সুদর্শনা উদ্ভিদ হব...
সপ্তমী দাশ— ২
নিষ্পাপ ভোর— মুখ
জমজম— স্বচ্ছ মন ও শরীর!
একটি মেয়ে— সপ্তমী দাশ!
বিষাক্ত পাপী মুখ— বিভৎস শরীর ও মন আমার!
কত বৈষম্য! দুটি মেরুর।
তবুও মিছিলে মিছিলে—
পৃথিবী বৈষম্যবিরোধী স্লোগান দেয়!
পৃথিবী ও প্রেম ভীষণ গোলাকার!
ঘড়ির কাঁটা কেমন ঘুরতে থাকে...
মহাজনের ব্লাডব্যাংক
সামনে হলুদ ভুঁই— এপাশে পুকুর
ধার ঘেঁষে মাচায় ফুটে আছে পটল ফুল
ওপাশে ধান ক্ষেত— একটা কাকতাড়ুয়া
বর্গাচাষির দিকে সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকে...
ফসলের গায়ে লেগে থাকা বর্গাচাষির নিষ্পাপ ঘাম ও রক্ত
জমা হয় মহাজনের ব্লাডব্যাংকে...
সারাবানু
চাঁদপুরের মেয়ে শৈশবের সারাবানু
ডুমুর-সবুজ চোখ।
আহা! শাদা কাগজ— মুখ।
দেখলেই মনে হতো লিখি দুয়েক লাইন!
তখনও শিখিনি কলম ধরতে!
আবার কোনও দিন দেখা হলে বলব—
অনেক কবিতা ফেলে এসেছি তোমাদের উঠোনে...
মাংস, মা ও সে
মায়ের রান্নার মতো শরীর ছিল তার!
আজও বাড়িতে—
মা মাংস রাঁধলেই মনে পড়ে তার কথা...
আহা! মাংসের এত স্বাদ!
0 মন্তব্যসমূহ
অস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।