১.
হাত থেকে পড়ে যায় যে পৃথিবী
তা’র গায়ে ঈশ্বর ছড়িয়ে দেয় যৌনজল
মনুষ্যত্বহীন পুরুষবৃক্ষে ভরে উঠে জমি
বুক থেকে নেমে আসে লোভলোল মীন
খায় চেটে ভাগ্যরস...
ত্রৈমাসিক কাগজের পাতায় ছাপা হয় যে বটতলার গল্প
তা’র প্রণয়নকার হয় এই পুরুষবৃক্ষ!
কৌমার্যহরিনি থাকে তফাতে
পুরুষবৃক্ষ-
নিজেকে দুরন্ত ভেবে ভেবে
ফুরন্ত হয়ে উঠে নিজের মনস্কাম ভুলে।
ঈশ্বর হাসেন-
কল্কিতে টান দিয়ে অবতারনামায় আঁক কষেন।
জীবন এখানে নিরুক্ত নিরাকার-
প্রতিদিনকার দৃষ্টিনদে এলাচের বন ভাসে
উড়ন্ত মানুষের মন হাসে আর হাসে
কথা কয় শবরী বালিকা উচ্চ রস-কষে।
বসন্তের চাঁদ, ফাঁদ পেতে রাখে-
কুঞ্জলরথে কাঁচুলি পরিহিত সে আসে
প্রণয়কলায় তনুমন দিন কাটে বাতাসে
কালমন্ত্র প্রজাপ্রতি হয়ে পুড়ে যায় আকাশে।
জীবনের পথে শবরীর কাটে না রাত
শুধু ফালি ফালি করে কাটা পরে চাঁদ।
1 মন্তব্যসমূহ
সকাল রয়কে অনেক আগে থেকেই চিনি। বিশেষত তার 'সংবেদ্য' পত্রিকাটি তো একসময় বেশ ভাল লাগত। এখন কি যে হয়েছে, তিনি আর তেমনভাবে লিখছেন না। হয়তো তার প্রভাব কবিতাগুলোর রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রকাশিত। তার পুনর্জন্ম প্রত্যাশা করি।
উত্তরমুছুনঅস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।