সরলরেখার কাছ থেকে যতবার সরে যাই
ছিটেবেড়ার গা থেকে খসে পড়ে মাটি
বাতাসের গায়ে অনেকক্ষণ উড়েও
উপেক্ষার মতো দেওয়াল ছেড়ে দেয় তার যাবতীয় রঙ
সন্ধ্যের আলোয় কে যেন জল ঢেলে দেয়
দিনের বর্ণমালায় অভ্যস্ত পাখিদল
কালো রঙে ভয় পেয়ে
কক্ষচ্যুত নক্ষত্রের মতো ধরা পায় অন্ধের হাত
বন্ধ ঘরের বৃত্তে চেনা নামতায় দক্ষ
অগণন মুখস্থ মুখ
জানলা খুলে দেখে নেয়
এখনও ঠিক কতদূরে ঘুমিয়ে আছে আলোজাল
ধুলো পথে জেগে আছে কত কত সূর্য
দু'হাত সাজানো আলোচালে
সরলরেখা ধুলোপথে হেঁটে যায় সারাটাদিন
খাতার পাতায় বারবার লিখি শূন্য
তবুও শূন্যের গন্ধে এখনও ডোবেনি নাক
বুকের দিঘিজলে ফোটেনিকো ঢেউফুল
গাছ থেকে ভেঙে গেলে জল
বোঝা হয়ে ওঠে মরুভূমি
খসে খসে পড়ে ঘরবাড়ি
শৃঙ্খলার নদী গতিপথে বাধা পায় বাঁধে
চেয়ে দেখি নির্জন সরলরেখায় ঘুমিয়ে দুপুর
দূর দেশে একা একা শুয়ে থাকি মরুদেশে।
0 মন্তব্যসমূহ
অস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।