১১
ঋণের শরীরে নুন জমিয়ে রেখেছি।
আর নিজের ভেতরেই আয়োজন করেছি নুনকোটের খেলা।
চলে আসো হে কিশোরী ধাই
ধরে ফেল—কোটাবদ্ধ এই রোদের দেহকে।
ক্ষরণের হাতে আমিও জমিয়ে রেখেছি আকন্দফুল।
মৌসুমি শালিকের চোখ অন্ধ হয়ে গেলে
তোমাদের দেখার ভেতরে নেমে আসবে ঘনকালো অন্ধকার।
সেই অন্ধপথে সন্ধ্যার ভায়োলিন বাজিয়ে বাজিয়ে
হাত পা গড়িয়ে দিয়ে আমিও পেঁকে যাবো নিশ্চয়!
১২
অসুস্থ বাতাস লেগেছে গাঁয়ে। উগ্র আগুনে পুঁড়ে পুঁড়ে ক্রমেই খাঁটি হয়ে উঠি। ধার্মিকের উল্লাসে—জন্মের আজান ঢুঁকে যায় আগুনের ভেতর। আগুনের হৃদয়ে আগুন হয়ে উঠি-ঝলসানো মুখের ভেতরে ধরে ফেলি মুখোশের নষ্টামি।
বুড়িমারীর আকাশে এ কেমন আগুন। ঘুমে-জাগরণে, সকালে-সন্ধ্যায়, জলে ও ডাঙায় সব স্থান জুড়ে ফুটে আছে আগুনের ফুল।
সমস্ত মিনার থেকে ধ্বনিত আওয়াজ রক্তের মতো ছড়িয়ে পড়ে।
মাথায় আঁচল ওঠে মায়েদের—হৃদয় কেঁপে কেঁপে জিকির ওঠে "জুয়েল ওরে সোনা জুয়েল"।
পৃথিবীর নরকে এই তুমি পুঁড়েছো আজ,
অন্য নরকে আগুন তোমাকে ছোঁবেনা।
0 মন্তব্যসমূহ
অস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।