জানুয়ারির মহুয়া
বিছানার পাশেই দেয়াল, তবুও
মহুয়া বাতাসে কাঁপুনি
জমে থাকা আলোর খেলা
ধোঁয়াশার শব্দে আঘাত
টিকটিকির সঙ্গম
বিছানাতেই ক্রুশবিদ্ধ যীশুর যন্ত্রণা!
কোমরের নিচে মাংসকণার চিৎকার
কেমন যেনো
উপরে সরল মেঘ
ক্রোধের সাথে জটলা
যাজকীয় যতেœর অসভ্য প্রতিধ্বনি
অনুশোচনা মতো অনুপ্রবেশ
মুসা’র আত্মকষ্ট নিয়ে শুয়ে আছি!
মা, নদীর মতো
কাঁদছেন, বেঁচে থাকার ক্লান্তি
চোখে প্রবাহিত
ধীর তত্ত্ব
সমস্বরে কেঁদে ফেলি!
কোন এক ভরা দুপুরে
কী রূপে বিমূর্ত সময়,
বাক্সের গহীন থেকে তুলে আনে
আপোষহীন দুঃখ!
যদি দুধের ভিতরেও
দুঃখই ঢেলে দেয়া হয়,
তবে— ঝর্ণা
পাহাড়ে
প্রবাহের তৃপ্তিতে
আমি থেকে আমিতেই
ভালোবাসায় বয়ে যাবে।
আমিকে হারিয়ে দেবার প্রত্যাশায়
প্রলোভিত!
ভুলিয়ে রাখার এই যে আয়োজন...
তবু বাদামের খোসায়
ভালোবাসা তৈরি করা
গল্পবন্ধ দুপুর,
রেলগতি
ছুটে চলা শৈশব
টকিজের দরজার এসে,
যেন পিঁপড়ে
দুধসাঁতার কাটে
সাদা পর্দার রঙিন ছবির মাঝে!
এইতো কয়েক দিন আগে মধ্যরাতে
আহ্লাদি জ্যোৎস্না
শহরের প্রান্ত থেকে
কবির চুলসিঁড়ি বেয়ে
নিমজ্জিত চোখে
মহিলা কলেজ পার হতেই
আঁধারের রঙে ভীত হয়ে যায়।
সঙ্গীহীনা— ভীত জ্যোৎস্নার বিশ্বস্ত সাথী
কবি একা!
কবি, পার্কের দীঘির দিকে এগুতেই
একটি কুকুর মধ্যরাতে স্ত্রীসঙ্গ ত্যাগ করে
মিশে যায় ছবির মতোন...
নববধূ
তারপর বর,
দুই,
তারপর এক,
আদম এবং ইভ,
তার সঙ্গী, চাঁদ তারপর সূর্য।
জ্যোৎস্না; কবি এবং কুকুর মিলে
নিষ্প্রাণ শহরের পাথুরে ঘুমকে
ভেঙ্গে দেয় ঠোঁটের বাঁধাই করা
নিখুঁত বাণীতে।
মাতাল হতে ইচ্ছে করে
আজ ভীষণ মন খারাপের দিন।
এমন দিনে মাতাল হতে ইচ্ছে করে—
যাপিত সময়ের নষ্ট স্বপ্নগুলো আঙুলে বেঁধে
মদে চুবিয়ে খেতে ইচ্ছে করে...
পুষ্টিহীন ভালোবাসার তাড়নায়
কাছাকাছি কোনো স্বর্গে বসে
যুবতীর ঠোঁট ভেবে
মদে ও গ্লাসে চুমু দিয়ে
মাতাল হতে ইচ্ছে করে...
আজ অন্যরকম
মন খারাপের দিন
এমন দিনে আমার
মাতাল হতে ইচ্ছে করে...
শব্দে তৈরির গুহায়
অন্ধকারে প্রজাপতি প্রজ্বলিত হয়।
মদ ও কাপের শাশ্বত রহস্য ভাঙতে
দেখিস আমি একদিন
সত্যি মাতাল হবো...
সূফীনামা
এক.
আনা হাজেরুন
আনা নাজেরুন
আনা গায়েবুন
আনা মুহিত্তুবিন কাফেরুন।
যা কিছু আছে তার অর্ধেক গোপন—
যা কিছু বর্তমান
অর্থ তার খোলাসার মতন।
আ— বর্ণে আমি
ল— বর্ণে লয়
ল— বর্ণে ক্ষয়
আ— বর্ণে আমিই
হ— বর্ণে হই
আমি লয়ে ক্ষয়ে আমিই হই!
দুই.
কহেন নিরঞ্জন,
প্রতিটি জীব আমার সমান
শূন্য হস্তে আমি শূন্যে বিরাজমান
যা কিছু করেছো জীবে দান
তাহাই মোর অর্জন...
তিন.
আমি এবং তিনি
এক মুখের দু’টি চোখ
একটিতে এলে জল অন্যটি কাঁদে...
চার.
ভাবে উদয় নির্ভাবে অস্ত
যে চিনেছে সেই নিরস্ত...
মৃত্যু কার্নিভাল
এমন মৃত্যুদিনে আগামীতে নয় নির্ভর,
কেমন সুন্দর!
মৃতকে অতীতের কবরে দেওয়া যাক!
তিনি, জীবিত বর্তমান অভিনয়!
ভিতরে-ভিতরে ঈশ্বর দ্বিধান্বিত।
সময়ের বালির উপর নখের ছাপ;
সম্ভবনার সিলিঙে বিধ্বস্ত জাহাজী!
রক্তাক্ত রূপ, রক্তমাখা মেঘ!
আকাশ হারিয়ে গেলো উড়ন্ত যাত্রী দেখে!
ধুলো থেকে তুষার, রেশম এবং দুধচাল হচ্ছে তৈয়ার...
অপেক্ষা
অপেক্ষা
অপেক্ষা
প্রেমের কবিতা
যে দ্যাখায় দূরত্ব বাড়ে
সে দ্যাখা না-ই’বা হলো আর।
বহুদিন গত হ’লে
আঁচলের গহীন থেকে
রঙিন মুখখানা তুলেই যদি বলো
এভাবে দ্যাখা না হ’লেই ভালো...
সে দ্যাখা না-ই’বা হলো!
স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রেমচিত্র
ক্ষণিকের অতিথি
দ্যাখা হলো ঝমঝম রেলে।
প্রেম।
রেলের প্রসাধন। সজ্জারুমে
মুখ না তুলে
বুক না খুলে!
বিদ্যুতবেগে
শিউলি পাপড়ি ভিজে গেল
লবণাক্ত জলে...
বয়ান
বিভাজিত
নিষিদ্ধ জমিতে উঠবে না চাঁদ।
চাঁদের বিরুদ্ধে
মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে
উড়ছে তিতির।
নিষ্প্রাণ ফুলের শত বছরের ঘুম।
পৃথিবী, আনন্দদাত্রী
কুমারী।
বিনির্মাণের তত্ত্বকথা কাঁধে
ছুটছে মৌ— সন্তান।
কবিশাস্ত্র প্রমাণ করতে
আমরা অপেক্ষায়...
চাঁদের চুম্বন শুরু হবে কবে!
তিতির জেনে যাবে
সূর্যের দুর্বলতার মতোই তার ধীরে চলা।
নয়টি সত্য, অন্ধ চোখে দেখে
পৃথিবীকে সমস্বরে বলবে,
‘সমতার মধ্যে বৃত্তাকার হও, এখানেই মুক্তি।’
4 মন্তব্যসমূহ
ভাই, কবিতা দিয়ে তো ফাটিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু নাম নিয়ে আপত্তি আছে। নামটা অর্থবোধক হয় নাই মনে হয়।
উত্তরমুছুনমোটামোটি মানের কবিতা৷ ভালো কবিতা বলা যাবে না৷
উত্তরমুছুনকেমন যেন লাগল৷ অতটা পছন্দ লাগল না
উত্তরমুছুনএগুলা কবিতা নাকি ছাই,
উত্তরমুছুনএমন বাল ডাস্টবিন খুললেই পাই,
কেউ নিজে কাটে, কেউ টাকা দিয়ে সেলুনে,
মনটা চাচ্ছে লাত্থি মারি মাদারচোদের পেছনে...
অস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।