আমাদের নিজেদের গদ্যের জনক সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ।
স্বদেশবোধে মুখর অথচ মুর্খ, কথায় কথায় জাতীয় সাহিত্যের ধ্বজা ধরে অথচ ধামা ধরার যোগ্যতাও অর্জন করতে পারেনি— আমাদের ইলিয়াস তাদের মুখে চুন লেপে ফর্সা করে দিয়ে সেখানে রচনা করেছে চারটি গল্প ও দুটি উপন্যাসের গ্রন্থ বিশ্ব। কালচক্রে পড়ে জীবনের ঘাড়ে পাপমুক্ত নিস্ফল যে মাথাটি ভাগে পাওয়া গেছে আজকাল তার আছে কেবল পাশ কাটিয়ে চলার প্রতিভা। টুকিয়ে পাওয়া ন্যাকাব্যাকা জীবনের পক্ষে আজ তার দায়বদ্ধতার ওজনই অনেক বেশী। এর অনেক খরচ। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বরাবর বিষয়বস্তুর সঙ্গে কথকতার একটা ভীষণ বাজি ধরে ঐ সব খরুচে অসামঞ্জস্যতাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করেন। চাঁদ বিজয় করার পর কম্পিউটার ছড়িয়ে গেছে ব্যক্তির হাতে হাতে— তাই সাধ জাগে উত্তীর্ন গল্পের দিকে এগিয়ে যেতে। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস গত তিরিশ বছর অসাধারণ অভিযান করেছেন— আজ তার সৃষ্টির মুকুট পালকে পালকময়— তার ব্যক্তি গত হয়েছে, সব কিছু এখন তার, পৃথিবীর— গ্লোবের।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আমাদের গদ্যের পথ প্রদর্শক। আমাদের নিজস্ব স্বপ্নশিল্পী। তার অতিচেতন সমগ্রস্পর্শী কলম ‘সম্ভ্রান্ত, মহামার্জিত ও ক্ষমতাবান’ লোকদের উপেক্ষা করতে পারে। সব শেষ হয়ে যাবার পরও আগুনের ভিতর হাত ঢুকিয়ে অক্লান্ত উদ্যোগে খুঁজে দেখান পোড়া ছাই ছাই মানবিকতা। তার কলম শিষ দিয়ে ওঠে যখন দ্যাখে ‘একটু দূরে পাহাড়ের মাথায় ন্যাড়া ঢ্যাঙা গাছের পাতাঝড়া ডালে ডিমে তা দেবার ভঙ্গিতে বসে রয়েছে কৃষ্ণপক্ষের কালচে রক্তের রঙের চাঁদ’। পাঠক নিজেও থাকে সেই চাঁদের পাশে, গিয়ে দেখে, চাঁদটি আর কেউ নয়, স্বয়ং আখতারুজ্জান ইলিয়াস। খুবই আপনজন আজ সে আমাদের।
তার এক ফোঁটা রক্ত ঝরলে আমাদেরও শরীর খারাপ হয়ে পড়ে। তার পা থেমে গেলে আমরা বসে পড়ি। তার সুস্থতা খুবই দরকার। তার যেন কিছু না হয়!
স্বদেশবোধে মুখর অথচ মুর্খ, কথায় কথায় জাতীয় সাহিত্যের ধ্বজা ধরে অথচ ধামা ধরার যোগ্যতাও অর্জন করতে পারেনি— আমাদের ইলিয়াস তাদের মুখে চুন লেপে ফর্সা করে দিয়ে সেখানে রচনা করেছে চারটি গল্প ও দুটি উপন্যাসের গ্রন্থ বিশ্ব। কালচক্রে পড়ে জীবনের ঘাড়ে পাপমুক্ত নিস্ফল যে মাথাটি ভাগে পাওয়া গেছে আজকাল তার আছে কেবল পাশ কাটিয়ে চলার প্রতিভা। টুকিয়ে পাওয়া ন্যাকাব্যাকা জীবনের পক্ষে আজ তার দায়বদ্ধতার ওজনই অনেক বেশী। এর অনেক খরচ। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বরাবর বিষয়বস্তুর সঙ্গে কথকতার একটা ভীষণ বাজি ধরে ঐ সব খরুচে অসামঞ্জস্যতাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করেন। চাঁদ বিজয় করার পর কম্পিউটার ছড়িয়ে গেছে ব্যক্তির হাতে হাতে— তাই সাধ জাগে উত্তীর্ন গল্পের দিকে এগিয়ে যেতে। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস গত তিরিশ বছর অসাধারণ অভিযান করেছেন— আজ তার সৃষ্টির মুকুট পালকে পালকময়— তার ব্যক্তি গত হয়েছে, সব কিছু এখন তার, পৃথিবীর— গ্লোবের।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আমাদের গদ্যের পথ প্রদর্শক। আমাদের নিজস্ব স্বপ্নশিল্পী। তার অতিচেতন সমগ্রস্পর্শী কলম ‘সম্ভ্রান্ত, মহামার্জিত ও ক্ষমতাবান’ লোকদের উপেক্ষা করতে পারে। সব শেষ হয়ে যাবার পরও আগুনের ভিতর হাত ঢুকিয়ে অক্লান্ত উদ্যোগে খুঁজে দেখান পোড়া ছাই ছাই মানবিকতা। তার কলম শিষ দিয়ে ওঠে যখন দ্যাখে ‘একটু দূরে পাহাড়ের মাথায় ন্যাড়া ঢ্যাঙা গাছের পাতাঝড়া ডালে ডিমে তা দেবার ভঙ্গিতে বসে রয়েছে কৃষ্ণপক্ষের কালচে রক্তের রঙের চাঁদ’। পাঠক নিজেও থাকে সেই চাঁদের পাশে, গিয়ে দেখে, চাঁদটি আর কেউ নয়, স্বয়ং আখতারুজ্জান ইলিয়াস। খুবই আপনজন আজ সে আমাদের।
তার এক ফোঁটা রক্ত ঝরলে আমাদেরও শরীর খারাপ হয়ে পড়ে। তার পা থেমে গেলে আমরা বসে পড়ি। তার সুস্থতা খুবই দরকার। তার যেন কিছু না হয়!
বি: দ্র: আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এর আরোগ্য কামনায়, ফৃ স্ট্রীট স্কুল, ২য় সংখ্যা, জুন ১৯৯৬-এ কবি ও গদ্যকার কাজল শাহনেওয়াজ এই অসামান্য ক্ষুদ্র রচনাটি লেখেন৷
0 মন্তব্যসমূহ
অস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।