তবে আমিও বলি, তবুও পৃথিবীর কবিতার বুকে তিনি আছেন এক কবি নাভিল মানদার। অতএব এখন তাঁর একটি কবিতা পড়া যাক—
সতীর্থ তুলো
পেট ফাটানো শিমুল তুলো ত্রিবাতাশে শিস দিয়ে খেলা করে;
মাঠের নতুন রোদ আর ঝড়ো বাতাশের হাওয়ায় চেপে
তুলোর নরম বিশ্ব— ফেটে বেরনোর খুশিতে বিদিক ভাসমান
কী দারুণ উড়ন্ত তুলোর সাথে অচেনা নারীর আন্তরিক মিল আছে
বুক উত্থিত নারীর মৌনভূমি; ভীষণ ভূমির উঁচু উঁচু স্নেহধারা
নারী ও নারীরা যখন হারিয়ে ফেলে স্তনের উচ্চতা
বায়ুভর্তি তুলোর উড়ন্ত রূপ তাদের ভরসা দেয়
অথবা একটি শীত এসে ঠিক তুলোর ভেতর শুয়ে পড়ে
আকাশের কপাল অনেক প্রশস্ত যেখানে সৌভাগ্য আছে
যেখানে রোদ্দুর এসে ব্যাপক পরিয়ে দেয় মধ্য গগণের টিপ
এমন অশেষ তৃণমূল মাঠ; এমন অশেষ মাঠের মধুর শিস
উড়ন্ত তুলোর কাঁধে চড়ে আমি ঘোড়া-ঘোড়া খেলছি মাইরী
—কবিতার গতি ও ভাষার স্বচ্ছ স্রোত দারুণ ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেন ভাসছিই— ভাসার শেষ নেই।
কবির নিজস্ব দেখার চোখ, মগজ ও হৃদয়ের ভাবনা, সুর ও স্বরের নিজস্বতা, ভেতরের দারুণ রোমাঞ্চ, অঢেল রহস্য আমাকে আরও টেনে নিয়ে যাচ্ছে, যদিও আমি কিছুই আবিষ্কার করতে পারছি না; তবুও সরল অথচ গূঢ় এক যোগাযোগ তৈরী করছে এই শরীরের ভেতরের আমির সাথে। কবিতার সাথে আমি, আমার সাথে কবিতা এক হয়ে মিশে গেছে। যেন আমি তুলো হয়ে উড়ছি, উড়ন্ত ডানারা আমার কবিতার মতো শব্দ করছে...
কি যে সব প্যাঁচাল পাড়ছি! ধুর! কারও কবিতা নিয়ে সত্যিই কি কিছু বলা যায়! বললেও তা কতটুকু ধারণ করতে পারে কবিতাটিকে?
বরং নাভিল মানদারের ভাষাকেই ঘুরিয়ে আমি বলব, উড়ন্ত কবিতার কাঁধে চড়ে আমি কবিতা-কবিতা খেলছি মাইরী।
1 মন্তব্যসমূহ
উড়ন্ত কবিতার কাঁধে চড়ে আমি কবিতা-কবিতা খেলছি মাইরী।
উত্তরমুছুনঅস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।