███████████
সম্পাদকীয়,
তৃতীয় সঙখ্যা
দিন দিন মুদ্রণব্যয় যেভাবে বেড়ে
যাচ্ছে তাতে আগামী দিনে বইপত্র কীভাবে বেরুবে তা ভাবতেই পারছি না। আর
লিটলম্যাগাজিনগুলোর অবস্থাই বা কী হবে? আগামী দিনে হয়ত’ মুদ্রিত
পত্রিকার সংখ্যা কমে যাবে অনিবার্য কারণে। লিটলম্যাগাজিন তো আর মাদার তেরেসার মিশন
অব চ্যারিটি নয়। ফলে প্রকাশের ঝাক্কি দিন দিন বাড়বে বৈ কমবে না। আর তাই এক্ষেত্রে বোধয়
অনলাইনই আগামী দিনের ভরসার জায়গা। এবারের সঙখ্যায় চমতকার একটি যৌথকবিতা প্রকাশিত
হল। কবিগণকে বিশেষ ধন্যবাদ। নোমানের আঁকা ছবিগুলো টোকা’য়
ভিন্নমাত্রা যুগিয়েছে। এভাবে ছবি প্রকাশ এবারই প্রথম। আশা করি এ ধারা অব্যাহত
থাকবে। এবারই টোকা’র সাথে যুক্ত হলেন অনেকে। সকলকে অভিনন্দন। চেয়ে রইলাম আপনাদের
দিকে। টোকা নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা অনেক। ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। টোকা’র
জন্য যে ধরনের লেখা চাই, সে ধরনের লেখার সঙকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। পূর্বের
পরিকল্পনা পরিবর্তন সঙক্রান্ত নোটিশ আপনারা পেয়েছেন। এখন থেকে একেকটি ‘সঙখ্যা’
প্রকাশিত হবে। চতুর্থ সঙখ্যা কবে বেরুবে সেকথা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে
পর্যাপ্ত ভালো লেখা জমা হলেই প্রকাশিত হবে, এটা নিশ্চিত। সেটা আগামী মাসের মধ্যে
হবার সম্ভাবনাও রয়েছে।
███████████
ফারহাদ নাইয়া’র দু’টি কবিতা
জনৈক মাছিটির সাথে
আবার যদি দেখা হয়,
আমরা একই থালায় খাচ্ছি
রেলিং ঘেঁসে
ঝোলে কতক রুগ্ন আম
হলদে ফড়িং’র পিছু দুয়েক
দুষ্ট।
ছোপ ছোপ ভালোবাসা
নিয়ে ব্যাস্ত রোদ
আকবরি চিন্তায়
হাঁটছে থ্রিজি
বটের নিচে
মগন পিঁপড়ারা।
মেয়েটি কাঁঠাল
পাতা মনের
ফুলবাবুর গায়ে
খাসি গন্ধ।
প্রকৃতির মাই ধরে
ঝোলে
দুষ্ট বানর-জাতিসংঘ...
বিধবা
রঙ নিয়ে তরুনী নাইটেংগেল
খ্যালে; আন্তরিকতা-আন্তরিকতা।
পাতিলের পরিসরে
আমার কৈয়া মন
লাফিয়ে লাফিয়ে
গুদাম ভরে অক্সিজেন।
অতএব প্রশ্নমতে,
রুগ্ন আম-হলদে
ফড়িং-দুয়েক দুষ্ট-ব্যাস্ত রোদ-থ্রিজি
মগন পিঁপড়া-পাতার
মন-খাসির গন্ধ=
নির্বর্তন
হুইসেল
Who is ill ?
সহজ
বৃত্ত: ফটোসিনথেসিস
কামড়ে
জ্বর মন।
নীতির
ব্যাবচ্ছেদ; হাইড্রোলাইসিস
দৃষ্টির
খানাখন্দ
উথলানো
দরদে ভেজা উনুন
সবুজি
পাপে দায়ী গেজী।
রেইনকোর্ট’র সর্দিতে ব্যাস্ত
ডাক্তার;
এই যে
শুনছেন, মিষ্টি আদরের
বৃষ্টি
ঝড়ে; ষোড়শী আষাঢ়।
ম্যান্ডেলা
আলোয় স্নাত ইনসমোনিয়া পল্লী।
চেতনায়
চে! চেখে নিন বিষমুক্ত ধুলো।
উলু
দিয়ে হুলো বিড়াল।
ডান-বাম, বাম-ডান
অলিন্দ-অলিন্দ, নিলয়-নিলয়
মেদযুক্ত
কথারা; রমনায় নেই
সকালে
হাঁটে; মিশন পিঁপড়া
সোলেমানি
কম্পিটিশন; সুপার পাঁচ।
ডাক--ডাক
ভেলি
প্রিয়ে
ফুল ফুল খেলি।
রিজার্ভ
ব্যাংক; জমাই সিএফসি
এত অল্প
মানুষ; নূহের নৌকায়
So
no birth birth control
১৬ জুন
২০১৩
দুপুর, উত্তরা ।
███████████
রনি বর্মন-এর তিনটি কবিতা
বোধ বৃক্ষের জানালায় বসে থাকে শীতের সকাল
বসন্তের শেষ বিকেলে যে কোকিলটি
বুড়ো
শালিকের বাসায় ডিম দিয়ে যায়
আমরা তাকে অপাদ-মস্তক চিনে ফেলি
হারানো নুনের পোটলাসহ
তার নখ-দন্ত
ও সাগর সঙ্গমের
সমস্ত
জীবন পাঠ।
মাঝে মধ্যেই আমি এবং আমরা
সকলেই সকলের অজান্তে
এডওয়ার্ড
মোড়ের হাঁ-মুখো
বাক্সে পরিনত হই।
আমাদের পাছায় ঝুলানো সাইবোডে লিখে নিই-
'আমাকে ব্যবহার করুন।'
জলযাতনার রাত
প্রথমত: সে আমার মাথায় চেপে বসে;
তারপর মৃদু চাপ দিতে দিতে-
আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় দূরে,
নদী-সমুদ্দুরে।
অশনি সংকেতে ডেকে আনে মাতাল হাওয়া-
শুদ্ধতার বহুমাত্রিক সূত্র অমাকে উপহার দেয়
যুদ্ধ জয়ের নতুন কৌশল;
আমিও পুরাতন সে বৃত্ত
ঘুরে আসি নতুন নিয়মে।
পথ আমাকে আগলে রাখে-
একবার ডুবায় একবার ভাসায়
পথ দেখতে গিয়েই
কেউ কেউ পথে বসে।
চলমান
যেভাব ঘটনাবলীর সূত্রপাত;
সুবোধ সকালের মাথায় ভর করে পাঙশ্যুটে মেঘের মহরা
নির্বিচারে বাতাসে গড়াগড়ি
দিতে দিতে দুরন্ত কণিকারা ছুটে চলে মাঠে
মাঠের ওপারে পরে থাকে সাদা শাড়ি ও বকের ডানা।
আপাতত প্রেমিক মন পান করে নেয় সীমান্তের ধূলিঝড়।
শীতের সন্ধ্যাকালীন আলিঙ্গনে ধারালো হয় বিকেল চোরা চোখ-
চোখের কোণায় পূর্ণতা পায় ধুপকাঠির রঙ-
সে রঙে আঁকা হয় স্নান ঘরের আঁলপনা
জলের ভিতরে ছাপা হয় কলের গান।
এখনো কী তুমি জীবন পড় মোমবাতি জ্বেলে,
যখন কেউ ঘুমিয়ে পড়ে দুধের পসরা মেলে।
███████████
শুভ্র সরখেল-এর দু’টি কবিতা
সৎকার
তুমিতো আমার সর্বস্ব প্রভুত্ত!
কাহারো সিঁদুর ভাঙ্গে-
কাহারো ভাগ্য মুছে
আমিতো তিন নয়নের জলে ফুটতে দেখেছি--
বিতারিত রাষ্ট্র,
দরবেশ রুপী প্রভু,
কামভোগী নবী-মহাজন।
ক্যামনে শিখবো-
আহারেও ছাড় দিতে হয়!
প্রভু আমার অভুক্ত আছে।
বাহবা
আমি একান্তই রাজনীতি পড়ি
রাষ্ট্র কল্পনা করি
আমার সম্পদ হবে অঢেল।
অধ্যয়নে শিখবো রাষ্ট্র কীভাবে বাড়ি বানানো যায়।
উৎসর্গ– শাহ্যাদ ফিরদাউস
আমার বিরক্ত
বিকেল বেলায়
একটু রিক্ত
ভালবাসায় স্বপ্ন দ্যাখাই—
সেদিন পুরনো
শহরের রাস্তাগুলো সাম্প্রদায়িক ভাবনায়–
আমাকে শর্ত
দিয়ে বসলো—
তুমি যদি
প্রেমিক হও
তবে
হেঁটে হেঁটে
পাড়ি দিতে হবে
পৌরসভার শেষ
সীমানায়!
আমি শাইলকের
ভূমিকায় অবতরণ করতে—
একাই একাই
পাড়ি দেই
পৃথিবীর
প্রতিটি রিফুজি ক্যাম্প—
নিজেকে নিয়ে
স্বপ্ন বানাই!
বিক্রি করি—
তাবৎ
গর্ভবতীর সম্ভাবনা!
আমার বন্ধুর
জন্য একটি চিঠি—
প্রিয়
আন্তনীও
তোমার সমস্ত
কারিগরি মহিমায়
দুনিয়ার
ইতিহাস নাটকীয় সাক্ষাৎকারে অভ্যস্ত!
আমিও তো—
এই নিষ্ঠুর
শহরের
একজন
তবুও তোমার
মতো খুঁজি
আরেকটি শাইলক
আরেকটি
আন্তনীও
আর
আরেকটি আমি!!!
███████████
সৈয়দ সাখাওয়াৎ, মাহাবুব হাসান, প্রসূন চৌধূরী ও কামরুস সালাম সংসদ-এর
যৌথকবিতা
শোকগাথা: শব্দ থেকে উৎসারিত বেদনার সুবর্ণ সঙ্গীত
ভবঘুরে পর্ব
এখনও রাত পেরিয়ে ভোর অবধি সূর্যস্বপ্ন আঁকে ভবঘুরের দল, নিয়ন আলোয় ল্যাম্পপোস্ট
আর দুরন্ত জলকণাদের সাথে। ভিঁজে মাটির গন্ধ
গায়ে মেখে কাঁকরোল ফুলের রেণু কান পেতে
শোনে পাতার থালায় বৃষ্টি আর
ভ্রমরের গান; আলগোছে বেজে ওঠা সুবর্ণসঙ্গীত,
ডানার গান।
আমাদের সময়
এসে থমকে দাঁড়ায় রহস্যঘেরা মায়া বটগাছের নিচে, যেখানে ভ্রমরের গান
হারিয়ে যায়
কোমলগান্ধার নগরে। আর বাতাসে ভাসতে থাকে আমাদের প্রাচীন সুর, আমাদের
হারানো পূর্বপুরুষের ঠিকুজি। যেখানে বিম্বিত অক্ষরে লেখা আছে মৃতের ফসলের ইতিহাস।
ইতিহাস পর্ব
গাছগুলোর গায়ে
নাম লেখা থাকে না। তবু আমরা চিনে ফেলি পাতাগন্ধ আর
ফুল-ফলের ব্যবহারে।
হারানো শুকনো পাতার নথি বয়ে চলে বাতাসে আর আমাদের কোলাহল ভেঙে ঘুমাতে গেলে বুঝি
পূর্বপুরুষের স্বপ্নরা উঁকি দ্যায়, কানামাছি খেলে। আর্তনাদ করে আমাদের মগজের প্রতিটি কোষে
কোষে!
অথচ আগের মত শহর হতে গ্রাম, পাহাড় থেকে সমুদ্র, এভাবে দাগ কেটে হাঁটা হয় না বলে
ভবঘুরে আশ্রয় খোঁজে আকাশের অনেক নিচে মানচিত্রহীন জমিনে জমিনে। রাষ্ট্র রাষ্ট্র খেলা-
যেখানে অপূর্ব পরিহাস! সিঁথির সিথানে টান টান করে আঁকা অন্তজের রক্তগঙ্গার ইতিহাস।
সীমানা পর্ব
শালুক সময়ে
বেঁচে থাকা মানুষের গান আমরা শুনতে পাই প্রতি সন্ধ্যায়। সন্ধ্যারেখা আমাদের
স্মৃতি অটুট
রাখে,
আর আমরা হাঁটতে থাকি পৃথিবীর প্রতিটি স্বপ্নের সাথে- পাশাপাশি।
নদীর ঢেউ কাঁটাতার মানে না, মানে না দোয়েলের চোখও। যেভাবে মানেনি রক্তবীজ উজাড় করে দেওয়া
ফুল পাখিদের উল্লাস, ঠিক পৌঁছে যায়
দেশ থেকে দেশান্তরে পরিব্রাজকের হাত ধরে, ডানার উড়ালে।
এভাবে ঝিনুকের বুকে জমে থাকা দীর্ঘশ্বাসও সঙ্গী হয় মেঘেদের, কেননা শালুকের বুকে বুকে
তখনও শব্দরেণু বেঁচে থাকা সময়ের গল্প শোনায়, বুকের পাঁজরে ইতিহাসলিপি সাথে করে।
এবাদত পর্ব
সমুদ্রের বুক
পকেট থেকে খুলে আসে চিঠি। মাছরাঙাদের গান শুনেনি বলে হাঙ্গরের মেয়েরা
কাল থেকে ঘুমাতে যায়নি। আর কতো কতো শ্যাঁওলার বাহানা-
শুধু মানুষের মুখগুলি মুখোশের বাক্সে রূপবান তালা হয়ে ঝুলে গেলে, এইসব চিরায়ত
মুহূর্তকথা, অনুভূতির জন্য কারো প্রাণ করুণ সন্ধ্যার বেহালার মতন মাছগন্ধ সুরে বেজে ওঠে না।
বেজে ওঠে না পাখিনাম ভোরসম সঙ্গীত। প্রাচীন সুর, নথি আর স্বপ্ন-
এই ত্রয়ের দিবানিশি নিমগ্ন যৌথাচারে প্রত্যূষে পূর্বপুরুষের অনাবাদী ক্ষেত
আর মঠ-মন্দিরে মহান এবাদতের পথ
আবিষ্কার করে চলে যূথাচারী মানুষ।
মানুষ পর্ব
সমান্তরালে চড়াই
দ্যাখে ঘাসফুলের সাথে
ক্রমশই বাড়ছে লাঙ্গল আর চাকার বৈরিতা!
আমাদের পকেটে রাখা সমুদ্রকে দেখি আড়চোখে, তার সাথে তুলে রাখি একগোছা নয়নতারা ফুল।
আমাদের ভুলে
যাওয়ার ইতিহাস বলে
মানুষ কখনো ভাসেনি জলে। তাই আমরা প্রতিদিন
খুঁজে বেড়াই জল, কখনো ঘাসফুলের দোলা- যা আমাদের মনে করিয়ে দ্যায় আমাদের মানুষ হওয়ার ইতিহাস।
বাঁশপাতার ধার
আয়ত্ব করা মাছেরা কখনো নিজেদের খুনে
নিজস্ব সবুজ হারায়নি যেমনি
মানুষ মানুষকে গিলে ফেলছে, উল্লাসে শুধু কাঁচপোকারা এখনো জলের গায়ে নিদাগ
হেঁটে যায়
ঢেউয়ের প্রেম বুকে
নিয়ে,
মানুষের অবিরত ক্ষরণের অনেকটা দূরে।
প্রেম পর্ব
প্রেম কখনো
প্রেয়সী কখনোবা প্রেতাত্মা হয়েছে, বানভাসি জলে
তা আশ্রয় দিয়েছে কোনো এক ময়ুরাক্ষী নদী। আর বোকাদের চোখ এখনো মুগ্ধ রাখে
থোকা থোকা শিউলি, শেফালি। কাশবনে এতটুকু কমেনি আজো শরৎ ও শুভ্রতার
পবিত্র প্রণয়ের দৃশ্য! তাই পৃথিবীর গতিপথে দাঁড়িয়ে থাকা একা মানুষ চিনতে চায় নিজের
চেহারা। স্বচ্ছ জলের গভীরে নার্সিসাসের ন্যায় দৃষ্টি মেললেই অজস্র প্রতিবিম্ব এসে
জড়ো হয়
একের বিপরীতে, প্রাচীনকাল হতে একাকীত্বের বিভ্রান্ত অনুভূতিতে আজো অক্লান্ত যেন
মানুষ।
দেবতা পর্ব
কোথাও নিষিক্ত হলে, বর্ষার মুখ মেঘেদের ছায়ারা দীর্ঘ বৃষ্টির সখ্যতা পায়,
দেবতাদের সাথে
গড়ে গভীর প্রণয় আর বিম্ব বিম্ব আলোর চোখেরা তাকিয়ে থাকে
মানুষ প্রকৃতি আর কারো কারো অপেক্ষার অস্থিরতার দিকে।
জানে না চোখ, শুধু খোঁজে অস্থির মনোভূমি। কেননা পৃথিবী মানে মাটির হৃদয় থেকে
উঠে আসা পতিত প্লাবন: খুনরাঙা ইতিহাস- দেহের ভেতর অনবদ্য শোক-রণসঙ্গীত!
অতঃপর মুর্ছনা মুছে গেলে আলোরা রূপ
বদলায়,
সন্ধ্যার ঝিঁঝিঁ ডাক
উৎসাহহীন বালকের মুগ্ধতার নদীপথে
রক্তগন্ধা জবার
লাল হয়ে ঝরে সকালের উদ্বোধনে, দেবতাদল উবে যায় মুহূর্তে।
জন্ম পর্ব
কোনো এক মসৃণ জ্বরে কৈশোর মুখ দ্যাখে জলশরীরে, কেননা চোখ জানে
মুগ্ধতার বিস্ময়ে পুড়ে যেতে বীজগন্ধময় শরীরে। কখনো শোকসকাল আর
মুগ্ধতা ছাপিয়ে
মানুষ ছুঁতে চায় আকাশ ও সমুদ্রের সঙ্গমস্থল। বাঁশি আর লাঙলের নিঃসঙ্কোচ মিলনে
জন্ম নেয় রহস্যাবৃত সুবর্ণ স্রষ্টারা। ভ্রুণের সুপরিকল্পিত নিদমহলে স্বপ্নের খুড়
রঙধনু ধূলা
উড়িয়ে অচেতনের অন্ধকার থেকে আবিষ্কার করে ব্যাথা আর বেলুনের নিমগ্ন খোল।
মাটির প্ররোচণায় উদগমনের জ্বরে জেগে ওঠে কাঁশবন, ফুল-পাখি-ফসলের উদার ঐকতান।
স্মৃতি পর্ব
জেগে ওঠা বনাঞ্চল জুড়ে থাকে ফিসফাস বাতাসের আলাপন, জেগে উঠে নদী- ভ্রমনে নিরবধি।
এইসব মুছে যাওয়া অন্ধকার জুড়ে
থাকে মাছেদের ঘ্রাণ আর ডাহুকের পাতাঝরা সূর্যস্নান।
কাশবনের স্বপ্ন দেখতে গিয়ে হারিয়ে ফেলি
চোখের দৃষ্টি। অন্ধ হয়ে ঘুরতে থাকি জন্ম- জন্মান্তরে।
আর স্বপ্নে শুধু বুনতে থাকি
পদাবলী সুর, হারিয়ে যাওয়া মানুষের গান। ডাহুকির ওম
খুলে
উড়ে যায় রোদকণা, শীত হওয়া কুয়াশার লালচোখ। ভ্রমনবিলাসী বাজপাখি ঠোঁটে নিয়ে যায়
ইঁদুরের সরলতা, তাল পাতার কানে গুঁজে দেয়
চিৎকার।
স্বপ্নের ড্রয়ার খুলে বেড়িয়ে আসে হারিয়ে যাওয়া শৈশব, খুচরো কাঁচা পয়সার স্মৃতি।
আয়না পর্ব
ভ্রমণের বারান্দাজুড়ে মেঘ, খুচরো স্মৃতি হয়ে খেলা করে। কেননা যাবতীয় দরজারা খুলে যায়,
যেখানে মানুষ চোখ রাখে নিজস্ব আয়নায়। প্রতিবিম্বের নারীরা চুল
আঁচড়ায়। হঠাৎ ছায়া
দেখে মুচকি ঠোঁটে ঘরে ঢোকার আগেই একে অপরের চোখে বিস্ময় নিয়ে
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে।
জানালায় মেঘের পকেট খুলে মিহি বৃষ্টিরা হৈচৈ করে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আমরা বুঝি,
আমরা কতটা একা। বিম্ব আমাদের দাঁড়
করিয়ে দ্যায় প্রতিবিম্বের সামনে। তাই নগরের পাখিরা
আয়না কিনে নিয়ে যায় প্রতি রাতে। শহরের বুকে ভাঙ্গা কাঁচ আমাদের রাতের জীবনের
ছায়াচিত্র হয়ে
বেঁচে থাকে। যেখানে শুধু পাগলের দেখাই মিলে ঘুরে ফিরে।
পাগল পর্ব
পাগল! এ যেন
দৃশ্য থেকে পুরাণে পুরাণে ছুটে চলা। তাই পাগলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি,
আয়না কিনতে ঘুরে বেড়াই পাগলের সাথে। আয়না একটি মুগ্ধতার নাম, প্রিয়তম শব্দের
কারসাজি কেবল। এখানে দাঁড়িয়ে তাই
চলে যাই গভীর কোনো জলে, যেখানে থাকে ফুল-
প্রিয় বাসনার কামনারাঙা চোখ। আর নিমেষেই পড়ে
ফেলি এক একটা দিনের নামে উড়ে যাওয়া
পাখিদের নাম, জোছনার মিথষ্ক্রিয়া, একবিন্দু শিশিরের মদিরাভাসান ঠোঁট।
এইসব যাবতীয় ভবঘুরে শ্লোক দেয়ালে দেয়ালে রং মেখে তুলে আনে ভোর,
কখনো ল্যাম্পপোস্ট আর শব্দবন্ধ চোখ
মুখোমুখি,
পাশে হেঁটে যায়
ছায়াসঙ্গী হয়ে।
দহনপর্ব
রাতের সামনে দাঁড়িয়ে খোলা হাওয়ার ঘ্রাণ জলছবি, আমাদের ঘোরের গহীনে ক্রমাগত ঘুরতে
থাকা বেলুন, রঙ খসা দেয়ালের অস্পষ্ট যোগচিহৃ আঁকা নাম- চাঁদবালিশে ঘুমানো দীর্ঘদিনগুলোর
রোদ সুর পাখি গান, চুড়ি ভাঙ্গার ঝগড়া
নিয়ে তোলপাড়। কান্নাভেজা চোখ জানে শিশিরে মুক্তি হয়
মেঘের
আর হিমস্মৃতি থাকে মেঘের ওপার। বৃষ্টিভেজা দিনগুলো আসে
পোয়াতি পালের চিহ্ন নিয়ে।
গলুইয়ের স্মৃতি মুছে দ্যায় ইস্টিমার। হাওয়ায় বাজানো শব্দের শিশ দুইপারের অমনোযোগ
তছনছ করে দিয়ে কালো ধোঁয়া উড়িয়ে আকাশের মুখ
গোমড়া করে দ্যায় আর স্মৃতিময় বৈভব
নিয়ে তুমি- তোমরা জেগে থাকো এই ঘরবাহির জীবনের মলাটে মলাটে। এভাবেই এক
একটা
রোদ পুঁড়ে উড়ে যাওয়া ঘুড়িদের সাথী হয় মেঘমন। আর লেখা হয় পুঁড়ে যাবার দীর্ঘ ইতিহাস ...
███████████
সাম্য রাইয়ান-এর দু’টি কবিতা
কাগজের বাঘ
আগুন হতে জন্ম নেয়া কাগজের বাঘ
আমি তারে করেছি রচনা;
রচনামাঝে সে লাফায় তবুও,
উদভ্রান্ত আগন্তুক অবাক বিষ্ময়ে
কেবলি তাকিয়ে থাকে
বাঘের প্রতি
বাঘ, বাঘ, আবার বাঘ;
আমা দ্বারা রচিত
কাগজের বাঘ।
লড়াইঅক্ষম হৃৎপিন্ড লয়ে তারে
দেখেছে কিছুজন বাজারে, চলিতে-ফিরিতে।
কে জানে তাহার হৃদয়ের ডাক, অথবা
শোনা কি যায়?
বালকেরা তবু নেংটিঅলা
পিছু লয়েছিল, তাড়া করবার
মৃত্যু বিষয়ক
মৃত্যুর নিজস্ব রঙ আছে-
রঙেতে উল্লাস আছে
ইউটোপীয় বিষন্নতা আছে।
অনন্ত স্বাদের, পৃথিবীতে
সেতো একমাত্র মৃত্যুই
████████████████████
███ আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই প্রকাশিত হবে
███ শ্বেতপত্র ও বিন্দু-র যৌথসংখ্যা
███ থাকছে কবিতা, গদ্য, যৌথকবিতা
███ দাম: কুড়ি টাকা
███ প্রকাশিত হবে অল্প কিছু সংখ্যা
███ এই সংখ্যাটি শুধুমাত্র তাদের জন্য, যারা
███ ইতোপূর্বে লিটলম্যাগাজিন পড়েছেন।
███ কুরিয়ারে পত্রিকা পেতে
███ ফোন করুন: ০১৯১১৮০৭৮৬৯
████████████████████
███ আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই প্রকাশিত হবে
███ শ্বেতপত্র ও বিন্দু-র যৌথসংখ্যা
███ থাকছে কবিতা, গদ্য, যৌথকবিতা
███ দাম: কুড়ি টাকা
███ প্রকাশিত হবে অল্প কিছু সংখ্যা
███ এই সংখ্যাটি শুধুমাত্র তাদের জন্য, যারা
███ ইতোপূর্বে লিটলম্যাগাজিন পড়েছেন।
███ কুরিয়ারে পত্রিকা পেতে
███ ফোন করুন: ০১৯১১৮০৭৮৬৯
████████████████████
███████████
রাশেদুন্নবী সবুজ-এর দু’টি কবিতা
ওরা বিশ্ব
মাতুব্বরের কা-কা শব্দ শুনেছিল
আলো থেকে অন্ধকার পর্যন্ত
কারফিউ / বেতারে প্রচারিত হচ্ছে সাধারণ জনপদের ঘটনা / আর শকুন আর কুকুর আর শেয়াল খেতে খেতে বমি করছে
/ গত দু’দিন বাইরে পা বাড়ানো
যাচ্ছে না / হিমালয় শৃঙ্গে বাতাসের শো শো শব্দ শোনা যায় / ভয়ানক ঝড়ের সাথে বুলেট
বৃষ্টি হচ্ছে পূর্বাভাস ভেঙে / হঠাৎ আতঙ্কিত বেড়াল গলায় কাঁটা বিঁধে কাঁশছে / মেঘের আঙিনায়
ভয়, বাতাস_জোৎস্না_জল কাঁপছে / কাঁটা তারের বেড়ার ওপাশে অপহৃত সূর্য আটকে
আছে অপেক্ষায় / কাঁদতে কাঁদতে লাল হয়ে যাচ্ছে মাটি ও পিচ ঢালা খয়েরি সড়ক / নিখর্ব
জোড়াজুড়ির পরও চোখ দেয় নাই এক ফোঁটা জল / শুধু তাকিয়ে ছিল পঁচা গলা নষ্ট হয়ে
যাওয়া চোখের ভালোবাসায় /
পরদিন পত্রিকার পাতায়
কিছুই ছাপা হলো না.. বুলেট_শব্দ_ জোৎস্না_কাঁটা_ কিছুই না / আমার প্রতিবাদ অবরুদ্ধ_আমার কণ্ঠে বেড়ি পড়ানো_হাতে ধরিয়ে দেয়া গ্রেনেডে
(হয়তো অকেজো) অপবাধী_কোমড়ে মোটা রসি_প্রসাবের কটু স্বাদের সাথে শুকনা রুটি_বরফ
পিঠে মিথ্যে কথারাও ফুটফুটে সত্য হয়ে বেড়িয়ে আসে অনায়াসে / এখন এই অন্ধকার
বদ্ধভূমির পুরাতন বাসিন্দা আমি.. /
পল্টন, ২৭ জুন ২০১০
এবঙ আহত মেঘ
উৎসর্গ : এরশাদ
আকাশে মেঘ ভেসে বেড়ায়
বেড়ায় ভেসে, ভেসে বেড়ায়
ভালোবাসায় কোলে রাখে জল কণাকে,
সকলই
মেঘের কান্নার
জন্য প্রার্থনা করে
দুঃখের
জন্য প্রার্থনা করে
আহত
হবার প্রার্থনা করে
আর বোকা আমি
ছাউনির
ফুটো বন্ধে ব্যস্ত
পল্টন, ১৮ ফাল্গুন ১৪১৬, ২ মার্চ ২০১০
(কৃতজ্ঞতা : সাম্য)
███████████
AviY¨K wU‡Uv-i wZbwU KweZv
RxebcvMjv miKvix ZvwjKvq bvg †bB, feNy‡i,
c„w_exwbevmx
mwZ¨
MZKvj
gviv †MwQ
jvwK‡m‡fb
†_‡K bv, mvZZjv †_‡K jvd w`‡q...
ey‡SwQ
D”Q¡Zv
†_‡K bx‡P c‡o hviv g‡i
Zv‡`i
†e`bv
Avi
Kx
Ggb myL Ggb gi‡b!
mwZ¨
MZKvj
gviv †MwQ
†`Lyb
AvwgB
†mB †jvK! fv‡jv K‡iB †`Lyb, †PvL KPjvb|
mwZ¨
MZKvj
gviv †MwQ!
AvRI
gie
PvKvi
Zjvq Pvcv c‡o
wc‡l
wc‡l...
eyS‡ev
`wjZ Rxe‡bi i~c‡iLv
`y‡PvL
†Lvjv ivLyb
†`L‡eb NUbvi NbNUv,
wVK wZb wgwbU c‡i...
hw`Iev
MZKvj
gviv †MwQ,
Zey
AvRI gie (Kvib e‡jwQ, Avi †ekx wKQy ej‡evbv)
kyay
AvR bv, AvMvgxKvjI gi‡ev, Z‡e
Kx
fv‡e Rvwbbv
mgq
AvmyK Rvbv hv‡e
KviY
GB‡h AvMvgx
ARvbv, Awbw`©ó...
evievi gwi...
euvwP...
RvwM...
mg‡qi M‡f©, gib‡K †`LvB AvOyj, ey‡ov!
ewjbv,
Zzwg †h k¨v‡gi mgvb!
Gme
†evKviv e‡j!
mwZ¨
MZKvj
gviv †MwQ, AvRI gie, AvMvgxKvjI...
fq
†bB, cvjv‡eb bv|
cywjk
Avm‡j ej‡eb, †jvKUv cvMj wQj, RxebcvMj
bvg : RxebcvMjv!
miKvix ZvwjKvq bvg
†bB, feNy‡i, c„w_exwbevmx...
mwZ¨
MZKvj
gviv †MwQ, AvRI gie, AvMvgxKvjI...
fvBme,
Kei
Luy‡ovb, mvwi mvwi ... Ke‡ii gvc, Rxebmgvb...
†ejybDrme
.................
...................................................
.......................................................................................
.............................................................................................
D‡o
hvq iwOb †ejyb —
iwOb cv‡ci iwOb
Av‡jL¨
D‡o hvq iwOb †ejyb — Rxe‡bi iO — cvc!
weMZKv‡ji bxj — AvR‡Ki Kv‡jv — AvMvgxi jvj!
D‡o hvq iwOb Kvgbv
iwOb Av‡jL¨ — cvc — Ag„Z Rxeb,
.................
...................................................
.......................................................................................
.............................................................................................
wcÖq,
gvÎv m¤ú‡K©
Avcbv‡K hv e‡jwQjvg, ...
GB
gnv wek¦c«K…wZ, GKwU
KweZv!
GKwU ZË¡!
†mŠ›`‡h©i Avavi!
KweZvq ZË¡ _v‡K,
_vK‡Z cv‡i, bvI cv‡i! K_v n‡jv KweZv wKbv,
ZË¡‡K Qvwc‡q,
ZË¡‡K wb‡q GKwU †UvUvj
KweZv n‡jv KZUyKy? ...
†Kej ZË¡I KweZv n‡Z
cv‡i,
†hgb, wek¦c«K…wZ!
KweZvwewnwb ZË¡,
KweZv bv!
ZË¡ n‡jv, ...
Kwe hLb †j‡L...
Ae‡PZ‡b...
†mLv‡b aiv †`q †PZb
g‡bi bvbvb fvebv, bvbvb c«Kvk,
Rxebhvcb!
mewKQy wg‡jwg‡k...
GKvKv‡i ...
Z‡Ë¡i †PZbv ˆZwi nq,
ZË¡‡eva, KweZvq aiv †`q Aaiv Avb‡›`!
ZË¡ QvovI KweZv n‡Z
cv‡i, †m Ab¨K_vi ZË¡!
Q›` / AjsKvi Qvov
KweZv nqbv, †Kej KweZv bv, mewKQyB Q›`gq e¨vcvi,
wek¦c«K…wZ‡Z...
hLb e…wó c‡o, †mLv‡bI
GKUv Q›` KvR K‡i,
e…wó c‡o cvZv b‡o
†mLv‡bI
GKUv Q›`! ...
ai“b, GKUv ‡jvK
nvuU‡Q, cv‡q cv‡q...
cv †djvi gv‡S Av‡Q,
gvc| e¨vKib| cv †djvi gvÎv| ...
†jvKUv fve‡Q,
†m gvÎv fvO‡e! ‡m
nvuU‡ebv, †`Šuov‡e... †`ŠuovAvAvAvAvAvAvAvAvAvAvAvAvAv‡Z
jvMj...
†`Lv hvq,
†mLv‡bI gvÎv,
Ab¨iKg... †`Šov‡bvi gvÎv, ...
gvÎv welqUvB Q›`!
GKUy Kvb cvZ‡jB aiv
‡`q ...
D`vm `ycy‡i cvwLwUi
GKUvbv †di †_‡g †_‡g Wv‡Ki gv‡SI Q›` Av‡Q, Av‡Q myi, myiv I mvwK, ...
Q‡›` Q‡›` Pj‡Z Pj‡Z
cZ‡bI Q›` Av‡Q! Av‡Q
cZ‡bi Avb›`!
†h a‡i ‡m a‡i, ‡h
a‡ibv †m a‡ibv! ...
awi wKev bv awi, gvwb
wKev bv gvwb, Avgv‡K Rvb‡Z n‡e! †h Rv‡b, Zvi bv Rvb‡jI P‡j, †hûZy ‡m Rv‡b, †m
a‡i!
GB‡h †`Lyb,
Avwg! Avcbv‡K...
nvZevo‡jB ai‡Z cvwi,
Zey aiwQbv, g‡bvig cv‡c! ...
†gvUK_v,
KvVv‡gv fvO‡Z n‡j,
KvVv‡gv‡K Rvb‡Z n‡e, †h Rv‡bbv, †m †f‡O Mo‡Z cv‡ibv, ...
KvVv‡gv †f‡O KvVv‡gv
bv Mo‡j Rxeb Pj‡e Kx K‡i?
†hûZy
Rxeb GKwU KvVv‡gv,
dyj!
cvucwoi gg© †_‡K S‡o
cov
UycUvc wkwk‡ii Mvb
wKev
†gwkbMv‡bi GKUvbv
Q‡›` wbM©Z aŸsm!
wKev
k¨vgmg mv‡ai gib!
wKev
m…wó!!!
gnvwek¦
> Z‡Ë¡i k…sLjv + Q›` + AevK AjsKvi = AevK KweZv!!
m…Rb ¸Ä‡b aŸwbZ cÖ_g
evK, evK¨! .......................................
hvnvi ü`‡q
Avgiv eÜy n‡Z cvwi!
GKUv gvÎv‡K †f‡O
Av‡iKwU gvÎvi w`‡K †h‡Z cvwi! hvi gvÎv, eûgywL! †`Lyb, †f‡Ocov Avqbvi
UyK‡iv UyK‡iv g~ûZ©iv
GKwU gvÎvi w`‡K hv‡”Q ...
ভাগ্যধন
বড়ুয়া
অনুবাদ
...এবং সন্ন্যাসঘেষা দিবারাত্রি
মিলায়- বিলায় বেলা
সুরার আসরে
অবিরত বেচাকেনা পথের
কিনারে
সূর্যবিন্দু বাড়ি
ফেরে দিক বরাবর
প্রশস্ত তালুয় আঁকা
পেটভর্তি আশা
বিদায়ী খবর বলে উত্তোলিত
হাত
কেউ কেউ অপেক্ষায়
ক্রমশ বিলাপ
নিজেকে প্রচ্ছদ করে
পৃষ্ঠার আড়ালে
চন্দ্রভস্ম
রাত
সমুদ্রের ঢেউ ভাঙ্গে
চন্দ্রভস্ম রাতে
তারাসব জুনিপোকা
জলবিম্ব ফাঁদ
বালুচরে বুক পাতা
শামিয়ানা ছাঁদ
নীল জলে ডুব দেয়
একান্ত সাধক
সবকিছু ধারাপাতে
পাতকী সময়
ঢেউ যদি চরে নামে
চাঁদ চেয়ে রয়
পলাতক আলোছায়া গন্তব্যে
হাজির
যে পথে পথিক ফেরে
সেই পথে চাঁদ
পাশাপাশি গল্প-গান
চলে সারারাত
তবু কথা জমা বেশী পটভূমি বাদে
তবু কথা রয়ে যায়
আদিম আবাদে...
নিখোঁজ
সংবাদ
মূলত প্রচ্ছদে ঢাকা
স্মারক কাহিনী
কি লিখার কথা আর
কি বুকে আবাদ ?
কেউ কেউ জানে কিছু
নিজস্ব আঁধার
দিনের আলোর বাঁকে
শূন্যের আড়াল...
সূচীপত্রে ছবি আঁকা অন্তস্থ হিসাব
গ্রহ জানে পাঠ হবে
ধারাক্রম মতে
গ্রহণের পর্ব ধরে
বিবর্তন পালা
আবর্তন ক্রমাগত উন্মুক্ত
গোপন...
স্বভাবত নীল জলে
মিল খুঁজে মুখ
আকাশ নিজের দেহে
সমুদ্র ডুবায়
গাঙচিল সাঁতার শিখে
উড়া ভুলে গেলে
সমর্পিত হৃদিবিন্দু
ক্ষণ গুনে জ্বলে...
নিয়মিত নিশিদিন নিয়মের
ঘেরে
কেউ হাঁটে আল ধরে
কেউবা ভেতরে
কারো কারো চোখ জুড়ে
খারাপ নজর
নিজেরে নিখোঁজ করে
রূপান্তর খুঁজি...
0 মন্তব্যসমূহ
অস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।