....

আফসানা জাকিয়া'র গল্প




অপছায়া


"আম পাতা জোড়া জোড়া / মারবো চাবুক চড়বো ঘোড়া/ ওরে বুবু সরে দাঁড়া/ আসছে আমার পাগলা ঘোড়া/ পাগলা ঘোড়া ক্ষেপেছে / চাবুক ছুঁড়ে মেরেছে"- মায়ের পিঠের ওপর দু'পা ছড়িয়ে এভাবেই খেলছিলো ছোট্ট ছেলেটি। উপলব্ধি করা যায়- তার ভাবনাগুলো নিত্যদিনের ভালোবাসা আর স্নেহের সংযোগে তৈরি জাগতিক বিশ্বাস। বাড়িময় উঠোন ঘিরে লোকজনের উপচে পড়া ভীড় উপেক্ষা করে, পুরোনো অভিজ্ঞতায় শিশুটি মুখস্থ বিদ্যায় মগ্ন। করবেই বা না কেনো? রক্তের মিল বন্ধন এভাবেই ভয় আর অভয়ের যোগসূত্র স্হাপন করে চলে শিকড়ের পাষন্ড মায়াজাল।আসলে প্রতিটি শৈশবই তার চোখে দেখতে পায় ক্লান্তিহীন আকাশে ফুটফুটে তারার মতো মায়ের অবয়ব। তাইতো মায়ের কাছাকাছি ডুবে থাকা! এভাবেই দুঃখের চিহ্নগুলো ডানা মেলে পাড়াবাহিত রুপকথার মতো।

ক্লান্ত লোকজন। প্রতিনিয়ত অভিজ্ঞতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় তাদের মনের আঙ্গিনায়। সাথে হাজার বছরের উপলব্ধির সঙ্গ। তাদের অভিজ্ঞতার শেকলে বাঁধা রয় বড় কুটিরের গ্রাম্য আদালতের রায়ের খ্যাতি। জমিদার কুটিরের বাইর ঘরটা থাকে বৈঠকখানা বা দেওয়ান ঘর হিসেবে। প্রতিনিয়ত খোস গল্প, চা আড্ডা আর বিচার শালিশে যা গমগম করে। আর গ্রীষ্মের খরতাপে গ্রাম্য আদালতের সম্মুখ সীমানা থাকে থইথই। জন সমূদ্র। কখনো গ্রামবাসীর অবিশ্বাস্যের দিন পঞ্জিকায় নানান ভঙ্গিমায় বর্ণমালা টুপটাপ ঝড়ে চোখের খোলা জানালায়। আর কর্ম ময় জীবনের সাথে আটকে পড়ে রয় অকৃত্রিম কিছু বিশ্বাস। যা গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোর রক্তপিন্ডের সাথে প্রচন্ড ভাবে আকর্ষিত হয়।

সে গ্রামের লোকজন পায়চারি দীর্ঘায়িত করতো শুধু কতিপয় ভাবনার মূল উৎঘাটন করবে বলে। আগ্রহী জনতার মুখে মুখে রটে যাওয়া কথা দীর্ঘদিন ছিনতাই হতো উল্লাসে আর আনন্দে। লোকজন রাস্তার ধুলোয় হাঁটতো না। কেবল রাস্তার পাশে যে ইরির জমি ছিলো।তার আইল ধরে ধরে চলতো। যাতে দৃশ্যমান চাকা দেখে বোঝা যায় কী ছিলো এটা? ভর দুপুরবেলা। লোকজন ক্ষেত খামারের কাজ গুটিয়ে কেবল বিশ্রাম নিতে গেছে যে যার বাড়িতে। গ্রীষ্মের দুপুরে সবার বাইরে থাকা দায়! গরু ছাগলেরা এক হাত জিহ্বা বের করে তাকিয়ে থাকে মানুষের দিকে।এমনদিনে অবস্থা বুঝে চলে আসে সেই যন্ত্র। ইঞ্জিন চালিত গাড়ি। শব্দে লোকজনের কাঁচা ঘুম ভেঙে যায়।লোকজন বেরিয়ে আসতে আসতেই কোথায় যে চলে যায়,কেউ ঠাওর করতে পারে না। শুধু ধুলির ওপর চাকার ছাপ দেখেই ধারনা করে।ওসমান বলে ওঠে- দ্যাক তোরা। কেমন মোটা মোটা দাগ! ছোট জমিদারের মোটর সাইকেল থ্যাকেও দশ গুন! আর ঘ্রাণ টাও কেমন। ওরে... জালু,আয় আয় গন্ধ দেকে ক দেকি কী হবার পারে? জালু আন্দাজ করতে পারে না।শুধু ধুলির উপর চাকার ছাপ থেকে নাক বসিয়ে ঘ্রাণ নেয়।আর ওসমানের কথার সাথে সুর মেলায়। তবে মাঝেমাঝে যানটা কোথায় যায় সেটা বুঝতে পারে না।আসলে যানটা যাচ্ছিলো আঁধারের বানিজ্যিক আয়োজনে।

জমিদার গিন্নির সুন্দর প্রজাপতি মনটা কখনো বিষন্নতা ছুঁয়ে যেত তার স্বামীর জটবদ্ধ, দুষ্টুগন্ধ যুক্ত জীবন দেখে দেখে।আচঁল খুলে মুখ ঢেকেছে বারংবার। তবু বোকারানীর মতো ফেরী করে বেরিয়েছে প্রতিবেশীর কাছে তার স্বামীর প্রশংসা। ঘর মুখো হয়েছে।আয়নার স্বচ্ছতায় মাঝরাতে শূন্যতা পুষেছে। তবু হত্যা করতে পারেনি নিজেকে। অসতর্কতায় চাঞ্চল্যভরা মন নিয়ে মমতাকে বলেছে- তোমার ছোট টাকে দেবে আমায়? আমার খুব মায়া লাগে গো। মমতা বেদনার রংগুলো আকাশে ছড়িয়ে দিয়ে বলেছিলো সেদিন- ভাগ্যে থাকলে পাবেন গো বু জান। হামি আর ক' দিন।যম ধরিছে যকন। জমিদার গিন্নি কিছু না বুঝে বলতে থাকে- মমতা তোমার তো দুইটা চাঁদ। দ্যাখো, আমার কী আছে? একটা ছোট্ট শিশুর মুখ আকঁতে পারলাম না জীবনে। নতুন ছবি, শুধু দেয়ালে দেয়ালে আটকিয়ে রেখেছি অস্পষ্ট আকুতি। কী নেই আমার? দ্যাখো, মাঠ জুড়ে ক্ষেত, পাঁচ জোড়া পুকুর, জমিদারি বাড়ি, বাড়ির সম্মুখ সীমানা - পেছন সীমানা ঘিরে ফুল, ফলের বাগান। শুধু আসল জিনিসটা নেই গো। আলতো মুখের কথা। নিষ্পাপ হাসি। মমতা এতো জটিল কথা বুঝতে পারে না। শুধু এটুকু বুঝতে পারে কিছু একটা আকুতি, প্রার্থনা। যা ভিক্ষে চাওয়ার চেয়েও জটিল। যেটা দেখে খুব মায়া হয় মমতার মাঝেমাঝে। আর ভাবে- আল্লাহ কী না দিয়ে কত মানুষকে ঠ্যাকাইয়া রাখছে! তাই কথা গুলোর উত্তর খুঁজে না পেয়ে পশ্চিম থেকে উত্তরে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। আর দিন রাত বিশ্বাসের ভক্তি পূজোয় কেবল জমিদার গিন্নির কথা বলে।

জমিদার গিন্নি স্বামীর জটবদ্ধ দীর্ঘ সময়ের সতীর্থ। তার পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ সব জানা শোনা। তবু কিসের লোভে যে মমতারে বাড়ীতে রাখে! এমন ভরা যৌবনবতী মেয়ে রে। নিজেও জানে না। অসম্ভব খাতির যত্ন করে।বোনের মতো ভালোবাসে। লুকিয়ে লুকিয়ে মমতার বড় ছেলেটাকে প্রাইভেট পড়ার বাড়তি খরচ বহন করে।নিজের ভাগের দুধ না খেয়ে কিংবা বাঁচিয়ে ছোট ছেলেটাকে দিয়ে দেয়। বর মাছের পেটি,মাংসের বড় বড় টুকরো রান্নার সময় সরিয়ে রাখে। যাতে যাওয়ার সময় মমতাকে দিতে পারে। আর এসব কারনেই মমতা শত কষ্টের মাঝেও কোথাও যেন আটকে যায়।মায়ার বাঁধনে। জমিদারের সাথে অজ্ঞাত রাত কাটানোর কথা ভুলে যায়। কতবার পা পেছনে ফেলে আবার সামনে অগ্রসর হয়,হিসেব নেই। জমিদার বাড়ির সীমানার ছায়াও মারবে না বলে আবার কাছে টানে! শুধু রাশভারী নদী টার মতো বলতে পারে না কিছুই। বিন্দু বিন্দু অশ্রু দিয়ে সিন্ধু গড়ে। আর গোপনে নিজেকে হত্যা করে চলে।

সমুদ্র ঠাঁই দেয়ার মতো জায়গা ছিলো মমতার বুকে। এ পাশ, ও পাশ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দেও সমুদ্র উঠে আসতো আবেগী হয়ে। যখন বয়স আট, তখন থেকেই সৃষ্টিকর্তা তৈরি করেছিলো তাকে কষ্টের ভাগ দিবে বলে।তাইতো আট বছর বয়সে বাবাকে মরতে হলো ক্ষমাযোগ্য অপরাধে! বাবাকে ঝুলিয়ে মেরেছিলো জমিদার বাড়ির আদালত।গরীবের যুৎসই সাক্ষী ছিলো না বলে। সেদিন মায়ের চোখে দেখেছিলো দাউ দাউ আগুন! যেখানে পুড়তে থাকে জমিদার বাড়ির কাচারি ঘর... মোটা আম গাছটার ছায়া... আর মোটা সেই মোটা ডালটা! সেদিন মমতা শুধুই মায়ের অসহায় মুখ খানি দেখেছিলো।তারপর অভিমানে অভিমানে সিক্ত মা একদিন নিজেকে খুন করে চলে যায় তাকে ছেড়ে। এমন অসহায় অবস্থায় ফুটফুটে মমতা লেখাপড়া চুকিয়ে কাজ ধরে প্রতিবেশীর বাড়িতে। লোকে বলে রাক্ষুসী। কেউ কেউ পাগলী। দলবেঁধে ক্ষ্যাপাতো সমবয়সী। এমন চলতে চলতে শৈশব আঙ্গিনা থেকে কৈশোরের আঙ্গিনায় পা বাড়াতেই বিপুল বেগে ছুটে আসে যৌবনের জোয়ার। যা নিজের থেকে মানুষরেই ভাবায় বেশি। তার সাথে বয়সী লোকজনের লালসা। যৌবনের চিহ্নগুলো ফুটে উঠতেই তার বিয়ের ফুল ফোটে। সকলে মিলে গফুরের সাথে মিল বন্ধন জুড়ে দেয়া হয়। হায়রে কপাল! এ আরেক সমুদ্র! আরেক বিষন্নতা! সেই থেকে তার ঠিকানায়।আজও মাটি আকঁড়ে বসে আছে মানুষটার জন্য।

মমতা আজ এমন ভাবছে কেন জানি সকাল থেকে।জীবনের আদি থেকে সব তার দৃশ্য গোচর হচ্ছে যেনো। সব ওলোটপালোট হচ্ছে মনের মধ্যে। গোপন কান্না গুলোর ঢল নেমেছে। তার গল্পের স্রোতা শুধু সে নিজেই। ভেবেছিলো গফুরের সাথে সুখে ঘর করতে পারবে আজীবন কাল। তারপর চলে যাবে লোকটার আগেই। গফুর ছিলো দয়া আর ভালোবাসার প্রতীকী এক মানুষ। তাইতো সংসারে আসার পর থেকে কিছুই ভাবতে হয়নি তার। ভালোবাসায় ভালোবাসায় জন্ম হয়েছে দু'টি চাঁদের। তার এই সুখের সংসারে ভাটা নেমেছিলো, যেদিন গফুরের পুরো শরীরটা মেশিনে ঢুকানো হলো। সে বুঝেছিলো, তাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে আরেক কষ্ট। নিহত হতে থাকে তার জমানো সুখগুলো।তবু ডাক্তার সাহেবের পা ধরে বলেছিলো- স্যার,ও ডাক্তার স্যার হামার উনি বাচপি তো? দেকেন স্যার,উনি ছাড়া এ মাছুম ছোলগুলোর আর কেউ নাই গো। ডাক্তার সেদিন নিশ্চুপ ছিলো। সে'বার যাত্রায় গফুর প্রাণ ফিরে পেলেও; শরীরে রোগের প্রশ্রয় ডাক্তাররা মূলোৎপাটন করতে পারেনি। সারাক্ষণ প্রশস্ত মহাসড়কের কাছে গিয়ে নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে থাকতো গফুর। হঠাৎ হঠাৎ বিরক্ত প্রকাশ করতো সংসার জীবনে। মমতা বলতো- ইঙ্কা করো ক্যা? আবার আড়ালে আশ্রিত চোখ দু'টো মুছে ঘরে ফিরতো। শক্ত শপথে মনটারে বেঁধে রাখতো।আর তখনই অন্তঃসত্ত্বা মমতা পা বাড়িয়েছিলো কাজের সন্ধানে। গফুর প্রথমে কাজে পাঠাতে চায়নি। তবে দীর্ঘশ্বাস ভারী হয়ে এলে বারণও করতে পারেনি। শুধু বলেছিলো- হামার জন্য তোমার জীবনটা এলোমেলো হয়ে গ্যালো গো। হামি অভিশাপ। মমতা মুখ চেপে ধরেছিলো। আর কপালে চুমো বসিয়ে বলেছিলো- হামি তোমাক কোনটিই যাবার দিমো না। তুমি দ্যাকো। বাঁধাহীন চুমুর বানী সেদিন তাদের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অভিধান ছিলো। সরল মুখো দু'জন মানুষের নিশি কেটেছিলো সেদিন ধুলি সরে সরে। অনন্ত পরিচয়ের আমন্ত্রণে।

তারপর যখন দ্বিতীয় বারের মতো গফুররে মেশিনে ঢুকানো হলো, সেদিন মমতার চলতে খুব অসুবিধা হচ্ছিলো। মনের অজান্তেই বারবার মনটা কেঁপে কেঁপে উঠছিলো। বুকের ধকধকানি বেড়ে যাচ্ছিলো। মমতা একমাত্র সম্বল আবাদী জমি, নিজের গহনা সব বিক্রি করে চিকিৎসার জন্য। মেশিনে ঢুকালেই আশি হাজার লাগে যে! মুহূর্তে পেঁচিয়ে যাচ্ছিলো তার সকল মায়াজাল। চারিদিকে যেন সাপ পেঁচিয়ে রেখেছে তাকে।বেরোনোর রাস্তা নেই। হায়রে অন্ধকার! বহুদিন ছায়া ঘিরে ছিলো। আজ তা অন্ধকারে রুপ নিলো! মমতা চোখ মেলে দ্যাখে,সে জমিদার বাড়ির এক কোনার ঘরে। অন্ধকারের বিপরীতে এক আলোর ঝলকানি। তার কোলে খেলা করছে একটা সুন্দর শিশু।আর গফুর তাকে খুন করে চলে গেছে চিরতরে। চিরকালের নির্জনে...

মমতা আজ চুল বাঁধেনি। ভাবনার রসদে অদৃষ্টের মায়া মাখেনি। আঁধারের অন্ধকারে হাওয়ার কানে কথা তোলেনি। ঘাড় কাৎ করে নিশ্চুপ থাকার অভ্যাস টাও রপ্ত করেনি। হুমড়ি খাওয়া নরম কোমড়টাও মেলে ধরার জন্য স্থির করেনি। শুধু অন্ধকারকে বহুভাগে টুকরো করেছিলো। নিজ অবস্থান কে মেনে একটা চিঠি লিখলো। আধা পাকা হাতে। তারপর গিয়ে দাঁড়ালো জমিদার বাড়ির খাস কামড়ায়। মদের পেয়ালা আর কাবাবের ঝলকানি তাকে পুড়ছে যেনো। মমতা দ্যাখে চারদিকে অপরিচ্ছন্ন হাত। তাকে ইশারা করে চলে।গত রাতে দীর্ঘ সঙ্গম তারে দাঁড়িয়ে রাখতে পারে না। খুব দূর্বল লাগছে। কোনরকমে টেনে তুলে এনেছে শরীরটাকে। মনিবের কথায়। এসে দ্যাখে জমিদারের ছায়া কে ঘিরে আছে আরেক ছায়া। তার ছায়াকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে আরেক ছায়া। আলো বিরোধী সংলাপ। শুধু অন্ধকারে ছায়াদের স্পষ্ট অবস্থান। মমতা তা দেখে বলে- সাহেব আজ ক্ষ্যান্ত দেন। শরীর টা ভালো না।বিশ্রামের ফাঁক প্রয়োজন। ওর' কথা শোনার লোক নেই। সবাই বিপরীতে দল ভারী করে। প্রস্তুত খেলার মাঠ। কে নামবে আগে? কে পরে?

মমতার আর্তচিৎকারে তখন আকাশ বাতাস বিষন্ন হয়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড় আর দমকা বাতাস লন্ডভন্ড করে দেয় সব। ছায়ামূর্তি গুলো নিজেদের মধ্যে নিজেদের বিরোধে প্রাণ হারায় জমিদার কর্তা। আর তাতেই দ্রুত স্হান ত্যাগ করে সবাই। মমতা কোন মতে প্রাণ টা নিয়ে এবড়ো থেবড়ো পা ফেলে চলে আসে নিজ বাড়ীর সীমানায়। টিনের দরজায় হাত ফেলতেই বড় ছেলেটা দরজা খোলে। আজ সে আবিষ্কার করে অন্য মা'কে। মায়ের বিষন্ন চেহারা। ছেঁড়া শরীরের ক্ষত। রক্তের দাগ বিভিন্ন জায়গায়।

গভীর রাতে মমতা স্বপ্ন দ্যাখে তার বাবাকে। বাবার মৃত্যু নিশান তার চোখে বারবার স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ঝুলিয়ে থাকা গভীর ঘুমের ঔষধ তার মনে ধরে যায়...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ