রুমি আপঞ্জী
সপ্তমীর সাথে সাথে প্রতিশ্রুতির চোখে ধুলো দিয়ে তুমিও চলে গেলে। ভিতর ভাঙার শব্দ শোনা গেলো। শিশিরের মতন চোখ থেকে ঝরে পড়ে গেলো জলপাতা সন্ধ্যের মিহি অন্ধকারে। কেউ দেখেনি জলপাতার স্বচ্ছ শরীর। অন্ধকার যে করেছে আমায় সমর্থন। অন্ধকার যে চিরদিন বিষাদরাঙা চোখ ও ক্লান্ত মানুষের বন্ধুসুলভ আচরণের শুদ্ধ নাম।
অন্ধকারের ভিতর মিশে যেতে যেতেই হৃদয়ের হলুদ পাতা ঝরে পড়ে মৃত্তিকার বুকে। একটা সপ্তমীর সন্ধ্যার বাড়ন্ত শরীর পূর্ণযৌবনা রাত্রিতে গড়ানোর পূর্বেই তোমার নিবিড় চোখ দুটোও আড়ালের আবরণে হারিয়ে গেছে গোবিন্দগঞ্জের পথে। তখন আমি মৃত্তিকায় ঘাসের নরোম স্তনে পড়ে থাকা অসহায় শরীর মাত্র।
স্তনফুল
১.
সৈন্য দু'জন তেড়ে আসছে
মলিন কাঁটাতার ডিঙিয়ে,
নাগরিক চেয়ে আছে সৈন্যদের
সাহসের সোনালী চোখে।
২.
নোংরা নখে ভেঙে ফেলো
সৈন্যদের আশ্রয়েয় ঢাল,
ছিঁড়ে-খুঁড়ে খাও ফসলের
উদাম বুকের ফোঁটা ফোঁটা ঘাম।
প্রণয়মাখা রোদ
তোমার লম্বা চুলে আকুল আমি
সন্ধ্যে হাওয়ার মতো— তুমি হাত
বাড়িয়ে ডাকো আমায় জলস্রোতের মতো;
আমি তোমার প্রাণের 'পরে প্রণয়মাখা রোদ—
আমার রোদে শুকাও তুমি তোমার প্রণয়-বোধ।
2 মন্তব্যসমূহ
সুন্দর কবিতা
উত্তরমুছুনঅসাধারণ, মনোহর, সুস্বাদু পাঠ অভিজ্ঞতা হল। লেখক সম্পাদক উভয়কে জানাই একরাশ ভালোবাসা।
উত্তরমুছুনঅস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।