....

আজাদ বঙ্গবাসী-্এর একগুচ্ছ কবিতা

রাষ্ট্র পোড়া ছাই

রাষ্ট্রের নাভীমূলে আবার জলপাই রঙ নামলে
‘ভাতের হাড়িতে, প্রেমিকের কোলে, নামে গোপন যুদ্ধ’
এই ভূখণ্ডের পুরুষেরা এখন নদীর ইমামতিতেই চলে
পয়গম পুরুষের দেখানো সেই আকাশ স্পর্শি ডানায়-
এই কি ছিলো লেখা!
প্রেয়সী তোমার রূপ জুড়ে উড়ে আসছে এ কোন লাল শকুনের নখ?

পুঁজির তীর আমাদের দৈনিকের খাবার
মৃত সৈনিকের রক্ত জুড়ে দেশ পোড়া ছাইয়ের সৌরভ
বুনছে জারজ বাগান। 

তোমাদের কি পুংচিহ্ন নেই? হে জলপাই রঙের বেরাকবাসী
টাকার গর্র্ভেই বুঝি তোমাদের জন্ম? আর নদী নেতৃত্বের নমস্যে
বুঝি ভুলেই গেছো- সেই লৌহে মাহ্ফুজের কথা!

ঈঙ্গ টোপের গো-পুত্রেরা শোন, জপের মালা ছিড়ে ছিড়ে
নিশানা ঠিকের কারিশমায় আর কত দিন!
শ্রমিকের রূপ চুষে চুষে চেয়ারকে ভাবছো অনন্ত ভূখণ্ড
ওই আসছে শোন ওই! নিঃশ্বাস কাটা সেই কালো পাষ-।
বিধবা রাষ্ট্রে আজ আর শান্তি নেই
আছে বুলেট প্রেম, আছে জলপাই রঙ...


একটাই তো শরীর

শরীর তো একটাই- তাকে অনেকেই চায়
ভাত দৌড়াত্ম্যের শেষে ঘুমেরা চায়
ঘুমের ভেতর স্বপ্নেরা চায়

সমাজের শাস্ত্রীয় অধিকার
না পাওয়া প্রিয় কল্পনার দুঃখ ভার
তারাও ফিরে যায় অজস্র অপার।

শরীর তো একটাই-
তারে বহু জনে বহু ভাবে চায়।
খ্যাতি-অখ্যাতিয়ে চায়
সংসার কিংবা বৈরাগ্যতায়
ভ্রুণাধিকারে চায়, জঠরের অসীমেও হায়!
কে যেনো আদি অন্তে বলে যায়।

এসবেরে ভালোবাসায় ভুলিয়ে
শরীটাকে রাখি আয় এক অমৃত আল্লাহর পায়।


বুঝলে উপেন

বলো তো উপেন
ভাত আর কবিতার মধ্যে পার্থক্য কি?

ভাত ক্ষুধা মিটাতে পারে
আর কবিতা
সে তো রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে বনলতা সেন!

তাই বুঝি উপেন!

আউট বই পড়া মেয়েগুলো
ভাত-কাপড় পেয়ে
পান কৌড়ির মতো ডুব সাঁতার খেলেও
সংসারী হতে চাইছেন?

কি আর্শ্চায- তাই না উপেন!


কৃষক

এই মধ্য রাতে খিধে লাগলে কি খাবো আমি!
আকাশের ওই চাঁদ তারাদের খাবলে খাবলে খাবো কি আমি?
নাকি এই কালো রাতকে থালায় ভরে পানতা ভাতের মতো
চুমুকে চুমুকে খাবো?
এই মধ্য রাতে খিধে লাগলে কি খাবো আমি!
মাইরি বলছি, ছলনা শিখিনি বলে-
কোথাও বেঁচতে পারিনি এই আমাকে
চৌদ্দ পুরুষের ভিটে চুমে চুমে হাড্ডিসার কৃষক আমি
আমার যে তিন বেলা খিধে লেগে যায় কি খাবো আমি?


হজ

শুক্রবার এলে- ‘গরিবের হজের দিন আসে’
মা- আমার দিকে তাকিয়ে যদি একবার হাসে
কত শত হজ হয়ে যায় দিন সপ্তাহ মাসে
মা যে তাই আমার ঘরে- মক্কা মদিনার মতো হাসে।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ